কায়সার হামিদ মানিক : উখিয়ায় দুই ইয়াবা কারবারি গ্র“পের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই ভাই নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে উখিয়ার রূপপতিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৯ হাজার ৬ পিস ইয়াবা, ২টি দেশীয় এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। কিন্তু নিহত ওই দু’ভাইসহ অপর এক যুবককে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর লোক পরিচয়ে ৩ দিন আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার দু’জনের মরদেহ পাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত মোস্তাক আহমদ (৩৮) ও মোক্তার আহমদ (৪২) কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালি গ্রামের জেবর মলিকের ছেলে। উখিয়া থানা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, উখিয়ার রূপপতিতে শুক্রবার ভোরে দু’ইয়াবা কারবারি গ্র“পের মধ্যে গোলাগুলি চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তলাশি করে ৯ হাজার ৬ পিস ইয়াবা, ২টি দেশীয় তৈরি এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলি ও দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পথে আহতরা মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতদের শনাক্ত করা হয়। নিহতরা পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি দাবি করে ওসি আরও বলেন, মরদেহ ২টি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। অপরদিকে স্থানীয় অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত তিনদিন আগে নিহত ২ জনসহ সাইফুল ইসলাম নামের আরেক যুবককে পালংখালীর ধামনখালী থেকে আটক করে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৬০ হাজার ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা জব্দ করা হয়। এরপর থেকে নানা দেনদরবার চলছিল। তবে এসব তথ্য অস্বীকার করেছেন ওসি আবুল খায়ের। পালংখালী ইউপির কয়েক জনপ্রতিনিধিও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১২ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ধামনখালীর বাসা থেকেই তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে অভিযান প্রত্যক্ষ করেছে। শূক্রবার জানানো হলো দু’গ্র“পের গোলাগুলিতে তারা মারা গেছেন। এটা অস্বাভাবিক।