নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন এর প্রাদুর্ভাব ও দুই গ্রæপের সাংঘর্ষিক রক্তপাতের আশংকা থাকায় পেকুয়া উপজেলার শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিতপুর্বক পুনঃনির্বাচন ও নতুন এডহক কমিটি গঠনের দাবি উঠেছে সচেতন মহলে। এ নিয়ে মাহমুদুল করিম নামের এক শিক্ষানুরাগী বাদি হয়ে রোববার ২৩ জানুয়ারী পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগে আবেদনকারী শিক্ষানুরাগী শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিতপুর্বক পুনঃনির্বাচন ও বিদ্যালয় পরিচালনার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে অন্তবর্তীকালীন কমিটি প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত আবেদনে বাদি শিক্ষানুরাগী উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটার আমিন শরীফের ছেলে মাহমুদুল করিম বলেন, শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনী তপশীল ঘোষণার পর হতে গত ১৪ ও ১৬ তারিখ দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু অভিযোগগুলি সরাসরি গ্রহণ করিয়া সেই বিষয়ে কোন ব্যব¯’া গ্রহণ না করে উল্টো একপক্ষীয় ভাবে জামায়াত বিএনপির প্যানেলকে বিজয়ী করা হয়েছে। এইধরণের নির্বাচনের জন্য পেকুয়া ও শিলখালীবাসী ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করছে।
অভিযোগে আরো বলেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে আমরা অবহিত করেছি, বেলাল উদ্দিন সিন্ডিকেট জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের নিমিত্তে¡ অভিভাবক সদস্য ভোটার দেরকে তার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জবর দস্তী ও হুমকি ধমকি দিয়েছে। অন্যদিকে কোভিড-১৯ ওমিক্রন ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বার্থে নির্বাচন বন্ধ বা ¯’গিত করণের জন্য ইউএনও দপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছাবের আহমদ, ইউপি সদস্য মোঃ হাসান, মহিলা ইউপি সদস্য খালেদা বেগম, সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী সহ স্থানীয় শিক্ষানুরাগী অনেকে ভোট ¯’গিত করণের প্রস্তাব করেছিলেন, স্বাক্ষর দিয়েছেন। অথচ তাদের আবেদনটি আমলে না নিয়ে প্রশাসন উল্টো এক পক্ষীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা নির্দেশনা দেন।
বর্তমানে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি নির্দেশনার ১১নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপাতত নির্বাচন ¯’গিত করনের জন্য ¯’ানীয় প্রশাসন বিধিমতে সুপারিশ করলেও তাদেরকে উপেক্ষা করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাজানো নির্বাচন সম্পন্ন করে প্রিসাইডিং অফিসার কৃষি কর্মকর্তা জামিউর রহমান মনোনীত ব্যক্তিদেরকে সদস্য ঘোষণা করে ফলাফল দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। তা আমি প্রত্যাখ্যান করছি ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।
নির্বাচনে ২টি প্যানেলর মধ্যে ১০ জন প্রার্থী ছিলেন, ১ পক্ষের প্যানেল কাজীউল ইনসান সমর্থিত নুরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন, সমশেদ জাহান, মহি উদ্দিন ১৮ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবেভোট বর্জন ঘোষণা করেছিলেন, তবু প্রশাসন আবেদন উপেক্ষা করে নিরবে ও সরবে আরেক পক্ষ জামায়াত, বিএনপির প্যানেল বেলাল উদ্দিন গ্রæপকে জিতাতে সহযোগিতা করেছেন। নির্বাচিত হবে ৫ জন, প্রার্থীও ৫জন তাদেরকে নিয়ে ভোট গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬০ জন অভিভাবক ভোটার থাকলেও ভোট আদায় করা হয়েছে ২৬৭ ভোট। যাতে প্রতিয়মান হয় বেলাল সিন্ডিকেটকে জিতিয়ে দিতে জামিউর রহমান পরিকল্পিত ভোট দেখিয়ে জিতিয়ে দিয়েছেন। তবুও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও নেতৃত্বে ১% ভোট আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন।
আবেদনে বাদি মাহমুদুল করিম বলেন, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আপনি একজন নিরপক্ষীয় প্রশাসনিক অভিভাবক। আপনার প্রতি স্বল্প সময়ে পেকুয়া বাসীর প্রচুর আস্তা রয়েছে এবং ছিল। এই কথিত জনশূণ্য ভোটার বিহীন সাংগর্ষিক নির্বাচন না দিলে রাষ্ট্রের এমন কি ক্ষতি হতো? পেকুয়া উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় একাডেমিক সুপার ভাইজার উলফাত জাহান চৌধুরী জামাত বিএনপির সিন্ডিকেটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক জিতিয়ে আনতে নিরবে সুকৌশলে জামিউর রহমানের মাধ্যমে এই নির্বাচন করে আপনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি উক্ত নির্বাচন জনস্বার্থে প্রত্যাখ্যান করছি।
আপনি এই অবৈধভাবে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রের জারিকৃত আইন অমান্য করা জনস্বার্থ বিরোধী নির্বাচনের বিরুদ্ধে জড়িত জামিউর রহমান ও উলফাত জাহানের বিরুদ্ধে বিধি মতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন সহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নিমিত্তে¡ পুনরায় নির্বাচনের ব্যব¯’া করণের জন্য বিহীত অনুরোধ করছি। মুলত নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক ভোটারদের মাঝে উত্তেজনা ও ভিতিকর পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল। সেই কারণে ভোটারগণ ভোট দিতে যায়নি।
অন্যদিকে একটি প্যানেল নির্বাচনের পূর্ব দিন ভোট বর্জনের পরও জামিউর রহমান ও উলফাত জাহান পরিকল্পিতভাবে সাজানো নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন এবং তাহারা স্বেচ্ছায় পরিকল্পিতভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে ধংসের জন্য ভোট সম্পন্ন করেছেন। এই পরিকল্পিতভাবে ভোট বাতিল ও প্রত্যাখ্যান করছি।
এই অবস্থায় আবেদনের বাদি শিক্ষানুরাগী মাহমুদুল করিমসহ সচেতন মহল সম্পন্ন হওয়া নির্বাচন স্থগিতপুর্বক পুনঃনির্বাচন এবং বিদ্যালয় পরিচালনার অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। ##