নাইক্ষ্যংছড়ি ছাত্রলীগের পদ ঘোষণা : বদরুল্লাহ সভাপতি উবাচিং সম্পাদক

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৭ years ago

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)থেকেঃঃ
ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের সঙ্গে সংগঠনটির নাড়ির সম্পর্ক। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ জন্মের দুই যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ছাত্র সংগঠনটি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগও অন্যতম। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বার) সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের বদরুল্লাহ কবির বিন্দুর সভাপতি উবাচিং মার্মাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে যথাক্রমে সহ সভাপতি পদে ইব্রাহীম খলিল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান বাপ্পী ও হেনসেন র্শ্মমার নাম ঘোষণার অনুমোদন দেন বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার পলাশ সাধারণ সম্পাদক জনী সুশীল।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঘোষিত কমিটির কেউ ব্যবসা বা চাকুরীতে যোগদান করলে তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানাযায়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগ জানান, শীর্ষ নেতাদের ‘গুড বুকে’ স্থান পেতে আশপাশে নানা চেষ্টা তদবীর করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কাঙ্খিত পদ পেতে শেষ মুহুর্তের চেষ্টারও কমতি ছিল না কারোরই। তবে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও ছাত্রত্ব ও বয়স বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কঠোর নির্দেশনা থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন অনেকে। যোগ্যতা ও সংগঠক ব্যক্তিত্বের মূল্যায়নে ৬টি পদ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে উপজাতি-বাঙ্গালী মিলামিল রেখে কমিটি গঠন করতে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নির্দেশনা ছিল। তাই আমরা একেবারে নিরপক্ষতা বজায় রেখে আংশিক পদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়।

এম,এ কালাম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ফয়সাল আজাদ জানান, ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর থেকে ছাত্রলীগ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল দীর্ঘ সময় ধরে। তাতে সাংগঠনিক কার্যক্রম একেবারেই অচল হয়ে পড়েছিল। এতে অভিভাবকহীন সংগঠন হয়ে চরম হতাশায় ভুগেছিলেন সাধারণ নেতাকর্মীরা। তবে এখন সংগঠনের শুধু মাত্র শীর্ষ ছয়টি পদ ঘোষণা করাতেই কোন রখম অভিবাবক হিসেবে পাওয়ায় স্বস্থি ফিরে ফেয়েছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১৪ সালের জুন মাসের জেলার সাবেক সভাপতি রাশেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সুজন চৌধুরী সঞ্জয় স্বাক্ষরিত ছোট আকারে ২০সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তবে ২ বৎসর ৫ মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির রূপ নিতে পারেনি।ততে জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সংগঠনকে আরও গতিশীল ও নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষে গত ৭ নভেম্বার সভাতি চো চু মং মার্মা ও সাধারণ সম্পাদক বদরুল্লাহ কবির বিন্দুর কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে দেন। তবে কমিটি বিলুপ্তি করে দেওয়ার কারণে কোন ধরনের কাউন্সিরের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবেনা বলে জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানানো হয়েছিল।