উম্মে আহমাদ ফারজানা : ডান কানে আজান আর বাম কানে ইকামত দেওয়ার মাধ্যমে সূচিত হয় মুসলিম শিশুর জীবন। তাই শিশু যখন বড় হতে থাকবে তাকে ধীরে ধীরে ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো শেখাতে হবে। যখন সে আরেকটু বড় হবে তখন নামাজ-রোজার মতো ইসলামের মৌলিক আমলে অভ্যস্ত করতে হবে। আরো বড় হলে ইসলামী শরিয়তের মৌলিক বিধি-বিধান শিক্ষা দিতে হবে।
মুসলিম শিশুর সর্বপ্রথম শিক্ষা হবে কালেমা শেখানোর মাধ্যমে। নবীজি (সা.) বলেন, “তোমাদের শিশুদের সর্বপ্রথম কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ শেখাও। আর যখন মৃত্যুর মুখে উপনীত হয় তখনো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তালকিন করো। কেননা যার প্রথম কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আর শেষ কথাও হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে যদি হাজার বছরও বেঁচে থাকে, তার একটি গুনাহ সম্পর্কেও জিজ্ঞাসিত হবে না। ” (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৮৬৪৯)
সাত বছরে উপনীত হলে সন্তানকে নামাজ-রোজার কথা বলতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাত বছর পূর্ণ হলে তোমাদের সন্তানদের নামাজের আদেশ দাও। ১০ বছর বয়সে নামাজের জন্য প্রহার করো এবং তাদের জন্য পৃথক বিছানার ব্যবস্থা করো। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
অতএব সাত বছর বা এর আগেই নামাজের প্রয়োজনীয় দোয়া ও সুরা-কিরাত সন্তানকে শিক্ষা দিতে হবে, সাধ্য থাকলে সন্তানকে নিয়ে হজ-ওমরাহ করা উচিত। এতে সে ছোটকাল থেকেই ইসলামের বিধি-বিধান জানতে ও শিখতে পারবে।
