সাদ্দাম হোসাইন : টেকনাফে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি-এস আলম পরিবহনের মুখোমুখী সংঘর্ষে শিক্ষানবীশ ও চালকসহ ২জন নিহত এবং আরো ২জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়,১১সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী এ সালাম এয়ার কন পরিবহনের একটি বাস এবং পালংখালী গয়ালমারা হাসপাতাল হতে হোয়াইক্যং মিনা বাজারের ঘোনার পাড়াগামী সিএনজি লম্বাবিল তেচ্ছিব্রীজ এলাকায় পৌঁছলে দুই গাড়ির মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষানবীশ চালক ও সিএনজি মালিক মোঃ ইউনুছের পুত্র মোঃ জয়নাল (৩৬) এবং পরে হাসপাতালে সিএনজি চালক ঝিমংখালী রাহমত উল্লাহর পুত্র মোঃ মামুন (২৫) মারা যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুৃলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত একই গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র মোঃ আবছার (২৮) এবং আবছারের স্ত্রী জোবাইদা (২৩) কে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং দূঘর্টনায় পতিত যানবাহন ২টি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। আহতরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশের ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সড়ক দূঘর্টনায় নিহত ২জনকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক চালক পলাতক থাকলেও ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি ২টি জব্দ করা হয়েছে। আহত অপর ২জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত জয়নালের স্বজনেরা জানিয়েছেন,রাত ৯টায় স্থানীয় কবর স্থানে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়নাল গত ২/৩ মাস আগে প্রবাস থেকে এসে সিএনজিটি ক্রয় করে। সে নিজে চালানোর জন্য মামুনকে প্রশিক্ষক চালক হিসেবে রাখে। পরিবারের লোকজন অসুস্থ হলে তারা চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য গয়ালমারা হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে ঘাতক বাসের সামনে দূঘর্টনার কবলে পড়ে সিএনজির মালিক শিক্ষানবীশ ও প্রশিক্ষক উভয় মারা যায়। ###