সাদ্দাম হোসাইন : উপজেলার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দেওয়া অতিরিক্ত ত্রাণ স্থানীয় খেটে খাওয়া গরীব মানুষ ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে আবার সূলভ মূল্যের বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক সক্রিয় থাকা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশলে এসব পণ্য ছিনতাইয়ে লিপ্ত থাকায় ত্রান সামগ্রী ক্রেতারা আতংকের মধ্যে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাহারছড়া শামলাপুর রোহিঙ্গা বস্তি, হোয়াইক্যং চাকমার কূল রোহিঙ্গা বস্তি, রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া, আলীখালী রোহিঙ্গা বস্তি, বৃহত্তর লেদা রোহিঙ্গা বস্তি, মোচনী নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্প, নয়াপাড়া নতুন রোহিঙ্গা বস্তি, জাদিমোরা নতুন রোহিঙ্গা বস্তি ও দমদমিয়া রোহিঙ্গা বস্তিতে অবস্থানরত লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা সমুহের উদ্যোগে চাউল, ডাল, তৈল, কম্বল, ক্রোকারিজসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছে। এসব ত্রাণ সামগ্রীর অতিরিক্ত অংশ রোহিঙ্গারা বিভিন্ন বাজার ও গ্রামে এনে বিক্রি করায় সাধারণ মানুষের চাহিদাও বাড়ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দু’পয়সা আয় করে সাবলম্বী হওয়ার জন্য এসব ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্থানীয় বেকার, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ এসব ক্যাম্পে গিয়ে ক্রয় করে কর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকছে। এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক ত্রাণসামগ্রী ক্রয়কারী সিন্ডিকেট বিশেষ প্রভাবশালীদের যোগসাজশে সক্রিয় থাকায় বহিরাগত অপরাপর লোকজন এসব পণ্যসামগ্রী কিনতে পারছেনা। কোন ব্যক্তি এসব পণ্য কিনে আনতে গেলেই ক্যাম্পে ওৎঁেপতে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা লুটপাট করে নিচ্ছে। এই চক্রের সাথে কতিপয় পুরাতন রোহিঙ্গারাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ রোহিঙ্গারা যদি এসব পণ্য বাহিরে গিয়ে বিক্রি করতে পারে আর আমরা গরীব মানুষ এসব কিনে বিক্রি করে জীবন চালালে অপরাধ কোথায়? সাধারণ মানুষ রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক ত্রাণ ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।