শাহ্ মুহাম্মদ রুবেল : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি কক্সবাজারে পর্যটক আগমেন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
এ অবস্থাকে পুঁজি করে আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে থাকে। এ অবস্থায় চাল ডালসহ প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বাড়তি দামে বিক্রয় রোধে মাঠে নেমেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের বড়বাজারের বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজারে অভিযান চালিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এসএম মিজানুর রহমান এবং মানস বড়ুয়া।
অভিযানে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি, পণ্যের মূল্য তালিকা না রাখা সহ বিভিন্ন অপরাধে ইমন স্টোরকে ৫০ হাজার, বার আওলিয়া স্টোর ও মোক্তার স্টোরকে ৩০ হাজার, হাসান ট্রেডার্স, রিমা স্টোর ও হমেল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার এবং রাসেল ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযোগে কাশেম এন্ড সন্সের সত্ত্বাধিকারী মিজানুর রহমানকে আটক ও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসাইন জানিয়েছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো গর্হিত কাজ। সবাইকে এই ধরণের অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকতে হবে।’নোবেল করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করতে না পারে সেদিকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আতঙ্কিত হয়ে কিছু লোক অতিরিক্ত মাত্রায় খাদ্যদ্রব্য কিনে সংরক্ষণ করছে। আর এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। আমার জানামতে আমাদের কোন খাদ্য সমস্যা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। তাই, আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য না কেনার অনুরোধ করেন তিনি। ব্যবসায়ীদের দেশের এ কঠিন সময়ে দেশপ্রেমের পরিচয় দিতেও আহ্বান জানান জেলা পুলিশে শীর্ষ এ কর্মকর্তা।