বার্তা পরিবেশক : করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি সরকারের বিধি-নিষেধের ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নির্ধারিত কর্মসূচী সৌদি আরব মক্কা শাখা যুবলীগের উদ্যোগে পালিত হয়েছে। এতে আলোচনা সভা ও কেক কেটে মিষ্টিমুখ করানোর মাধ্যমে কর্মসূচী পালন করা হয়।
গত ১লা জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টায় সৌদি আরব মক্কা শাখা যুবলীগের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক সভা আলোচনা সভা মক্কাস্থ স্থানীয় (শারাইয়া) ক্লাবে নুর মোহাম্মদ নুরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। হাসান জসিমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার নুরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মক্কা আওয়ামী যুবলীগের সজসভাপতি জাকির আলম জিকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দিল মোহাম্মদ দিলু। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুল আমিন, জাবের মিয়া, আবু তাহের ও সামসু প্রমুখ।
এতে বক্তরা বলেন, উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (২৩জুন)। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি) এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জন্ম হয় ক্ষমতাসীন দলটির। এরপর জাতি গঠনের প্রতিটি সোপানে-স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার সময়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নাম ধারণ করলেও ১৯৫৫ সালে এই দল ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৬৬-এর ৬ দফা, ৬৯-এর গণআন্দোলনসহ দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২ বছর পর্দাপন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সীমিত আয়োজনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মধ্য প্রচ্যের সৌদি আরব মক্কা আওয়ামী যুবলীগের পক্ষে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম জন্মদিন পালন সত্যিই প্রশংসনীয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাগমের কর্মসূচি এড়িয়ে সীমিত পরিসরে মাধ্যমে কিছু অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
প্রধান বক্তা মক্কা আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি জাকির আলম জিকু,বলেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, ১৯৮১ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পর্দাপন করার পর থেকে আজ পযর্ন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত। ৭২ বছরের পথ পরিক্রমায় দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক দলটিকে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরুতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর অনেকটা অস্তিত্ব সংকটেই পড়ে আওয়ামী লীগ। দলের ভেতরেও শুরু হয় ভাঙ্গন। এরমধ্যে আব্দুল মালেক উকিল-জোহরা তাজউদ্দীনের দৃঢ়তায় সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করে দলটি। ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরতে সক্ষম হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর এক দশক ধরে সারা দেশ ঘুরে দলকে সংগঠিত করেন তিনি। স্বৈরাচার বিরোধী তীব্র গণআন্দোলনও হয় তার নেতৃত্বে। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ২১বছর পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করে দলটি। তখন থেকে টানা ৩ মেয়াদে সরকারে রয়েছে আওয়ামী লীগ। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের পাশাপাশি দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। দেশ ও দশের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বাত্নক সহায়তার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। করোনা দূর্যোগ কেটে গেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আগামী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাঁকঝমক পরিবেশে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সর্বশেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে উপস্থিত সকলের মধ্যে মিষ্টিমুখ করানো হয়।