বার্তা পরিবেশক : হ্নীলায় সৌদি আরবে প্রাপ্য টাকা লেন-দেনের জেরধরে দুই সহোদরকে মাদক অপবাদে হয়রানির চক্রান্ত করছে এক স্বার্থান্বেষী মহল। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত স্বাপেক্ষে এই ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
জানা যায়, হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালীর রমিজ আহমদের পুত্র জিয়াউর রহমান (২৪) ও লুৎফুর রহমান দুই সহোদরদের মধ্যে জিয়াউর রহমান সৌদিয়া প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে বিয়ে-শাদীর পর শরণার্থী ক্যাম্প ভিত্তিক গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা (এনএফ এবং আইওএম) চাকরী করে সংসার চালিয়ে আসছে। অপরদিকে লুৎফুর রহমান চাষাবাদ ও দোকান পাট করে সংসার চালিয়ে আসছে। হঠাৎ করেই এই পরিবারের দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উত্থাপন করায় এলাকাবাসী হতবাঁক।
অপরদিকে সৌদি আরব অবস্থানকালে জিয়াউর রহমানের বড় ভাই ফজল আহমদ এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা পাওনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উক্ত টাকা আদায় নিয়ে মতবিরোধের সৃষ্টি হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ দায়ের করা হয়। উক্ত সালিশে বিবাদীগণকে পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য তাগাদা দিয়ে ডিক্রী নামা প্রদান করে। এরপর হতে হঠাৎ করে উক্ত সালিশের বাদীপক্ষ এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে অপপ্রচার শুরু করে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা শুরু করে।
টেকনাফে এখন চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ফাঁকে ফেলে আমাদের বিরোধী মহল হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তাই লুৎফুর রহমান ও জিয়াউর রহমানসহ তার পরিবার এসব উদ্ভট, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত ঘটনা সর্বস্তরের জনসাধারণ হতে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।