সরকারের সহায়তায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উদ্যোগে টেকনাফ সদরের এক নাম্বার ওয়ার্ডে অভূতপূর্ব উন্নয়ন

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

স্পেশাল করেস্পন্ডেন্ট :
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে এক সময়ের অবহেলিত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ডের দরগাহ ছড়া, মিঠাপানির ছড়া, হাবির ছড়া, রাজার ছড়া, করাচি পাড়া এলাকায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বদলে গেছে এলাকার চিত্র। এক সময় এই ওয়ার্ডের যেখানে ছিল কাঠের সেতু সেখানে তৈরী হচ্ছে পাকা ব্রীজ, যেখানে কোন সেতুই ছিল না সেখানে নির্মিত হচ্ছে কাঠের সেতু আবার যেখানে ছিল মাঠির হাটা পথ সেখানে তৈরী হয়েছে ইটের রাস্তা, যেখানে কোন রাস্তায় ছিল না সেখানে তৈরী হচ্ছে মাটির রাস্তা। শুধু তাই নয় মসজিদ-মাদ্রাসা-কবরস্থান সংস্কার, খাল খনন, গভীর নলকূপ স্থাপন সহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিনিয়ত সহজতর হচ্ছে এলাকার মানুষের জীবন যাত্রা। পাশাপাশি সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর সঠিক বাস্তবায়ন ও পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপনের মতো কর্মকান্ড এগিয়ে চলছে এই এলাকায়। এতে এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সদর ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মিয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মহলের সাথে সমন্বয়ের ফলে এই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১বছরে ১নং ওয়ার্ডে যে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে তার মধ্যে ৭ টি মাটির রাস্তা, ৫ টি ইটের রাস্তা, ২টি কালভার্ট, ১টি ব্রীজ, ৩টি গাইড ওয়াল ও ২টি মাদ্রাসার বাউন্ডারি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি কবরস্থান পরিষ্কার, বাজার পরিষ্কার করা সহ মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া ৬৯৪ জন মহিলা কে ৩০কেজি চালের কার্ড, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৩০০ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তার আগের বছরে ১নং ওয়ার্ডে ৯টি মাটির রাস্তা হয়েছে। ৪টি ইটের রাস্তা, ৪টি বাঁশের সাঁকো, ২টি কালভার্ট নির্মাণ, ১টি খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। ১১টি গভীর নলকূপ করা হয়েছে। ২টি সড়কের পার্শ্বে গাছের চারা রুপন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী আহমদ টেকনাফ টুডে কে জানান, আমি আগে অনেক কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। রশিদ মিয়া মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের উন্নয়নের অংশ হতদরিদ্রদের কর্মসৃজনের কাজে উপকারভোগীর কাজ পেয়ে আমার পরিবার এখন সচ্ছল পরিবার। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মেম্বার সাহেব কে ধন্যবাদ জানায়।
এলাকার অপর এক বাসিন্দা মো. আমিন জানান, স্বাধীনতার পর থেকে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের মেগা প্রকল্প গুলোর বাস্তবায়ন যেমন দৃশ্যমান সেই সাথে গত ২ বছরে আমাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়া মেম্বারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন যেমন – রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, ভিডাব্লিওবি’র আওতায় চাল, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ১৫ টাকা কেজি দামের চাল, হতদরিদ্রদের কর্মসৃজনের কাজ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে সহযোগিতা পাচ্ছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদ ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যে উন্নয়নের উদ্যেগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আমি আমার ওয়ার্ডকে মডেল ও স্মার্ট ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। সেই সাথে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী এবং কর্ম পেশার মানুষের সমস্যা, অভিযোগ ও প্রয়োজনীয়তা গুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর তুলে ধরার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি এলাকার বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ কর্ম, যেমন – মাদক পাচার নির্মূল, মানব পাচার, অপহরণ, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে প্রশাসন কে সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজেও এই অপরাধ দমনে সততার সাথে সচেষ্ট থাকি। আগামীতেও আমার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।