টেকনাফ টুডে ডেস্ক : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক নারীকে (৩০) ধর্ষণের দায়ে একরামুল হক (৩৬) নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৩নং বড়বিল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী মারার যাওয়ার কারণে সন্তানদেরকে নিয়ে গত ছয় বছর থেকে মায়ের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তার ভাই ওই ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভূমিহীন হওয়ায় ভিজিডি কার্ডের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য একরামুল হক ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার কথা বলে ওই নারীর কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা দিতে না পারলে কু-প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে ওই ইউপি সদস্য নারীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিতে অব্যাহত রাখেন।
ঘটনার দিন ১৮ ডিসেম্বর বিকালে ভাইয়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসার কথা বলে ওই নারীর বাড়ি যান ইউপি সদস্য। পরে বাড়িতে একা পেয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে সটকে পড়েন তিনি। ওই দিনই রাত ১০টার দিকে তিনি বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি থানা কর্তৃপক্ষ নথিভুক্ত করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, স্বামী মারা যাওয়ায় তিন সন্তান নিয়ে মায়ের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন ওই নারী। প্রায় চার মাস থেকে ইউপি মেম্বার একরামুল ভিজিডি কার্ডসহ নানান সুযোগ-সবিধা দেওয়ার কথা বলে অনৈতিক সম্পর্ক রাখার কথা বলে আসছিল। কিন্তু ওই নারী রাজি হচ্ছিলেন না। ঘটনার দিন কৌশলে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসার কথা বলে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল ধর্ষণ মামলা ও ইউপি সদস্য একরামুল হককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গঙ্গাচড়া আমলি আদালতের কোর্ট জিআরও আব্দুর রাজ্জাক জানান, ধর্ষিতা নারীটিকে মেডিকেল টেস্ট করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। পরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।