এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া : আর্ন্তজাতিক অভিবাসন দিবস উপলক্ষে কমিউনিটি পুলিশ চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে জনসচেতনামুলক সমাবেশ রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশের চকরিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া।
পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: আবু মোর্শেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি পুলিশিং চকরিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আই.সি পুলিশ পরিদর্শক শরীফ ইবনে আলম, পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল।
উপস্থিত ছিলেন পূর্ববড়ভেওলা কমিউনিটি পুলিশের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি এহেছানুল হক মনু এমইউপি, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি জসিম উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি কফিল উদ্দিন এমইউপি, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি বেলাল উদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মো: তালেব উল্লাহ এমইউপি, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি কাইছার লিটন, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মোজাম্মেল হক, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মিজবাহ উদ্দিন এমইউপি, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু জাহেদ, কমিউনিটি পুলিশিং এর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে ফেরদৌস আহমদ, কমর উদ্দীন, লিয়াকত আলী বাবু, নুরুল আবছার, আবদুল হামিদ, মোস্তাক আহমদ, ছৈয়দ উল্লাহ, শেখ মুজিব ও শামসুল আলম, আরো উপস্থিত ছিলেন হুমায়রা বেগম সাবেক এমইউপি, রোকেয়া বেগম এমইউপি ও তসলিমা বেগম এমইউপিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আর্ন্তজাতিক অভিবাসন নীতিমালা বলছে যে কোন দেশের নাগরিক অন্য দেশে যেতে গেলে আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ থেকে কোন নাগরিক বিদেশে কাজের সন্ধানে গেলে তাকে ভিসা, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়। অনুরূপভাবে অন্য কোন দেশের নাগরিক বাংলাদেশে আসতে চাইলে তাকেও একইভাবে আইনী বিধিমালা মানতে হয়। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারও অভিবাসন নীতিমালায় বিশ্বাসী। সরকার সেই লক্ষ্যেই জনগনের কল্যানে কাজ করছে। সরকার প্রধানের সদিচ্ছার কারনে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতির পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম জনগনের দৌড়গৌড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য বর্তমান পেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা অবনতির একটি খারাপ দিক হলে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবস্থান। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও অনেক সময় এসব রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে আমাদের লোকালয়ে মিশে যেতে পারে। তাতে বাড়তে পারে অপরাধ প্রবণতা। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে প্রতিটি এলাকার কমিউনিটি পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে তাঁরা আমাদের লোকালয়ে অবৈধভাবে বসবাস করতে না পারে। কোন ধরণের অপরাধ কর্ম সংগঠিত করতে না পারে। #