ফরিদুল আলম / সাদ্দাম হোসাইন : টেকনাফে হোয়াইক্যং খারাংখালী বাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা আবারো কৌশলে মাদক খালাস করতে গিয়েই চালান নিয়ে রোহিঙ্গাসহ ফের ২জন আটক হয়েছে।
সুত্র জানায়, গত ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত সোয়া ১১টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারাংখালী বিওপির বিশেষ একটি টহল দল মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে খারাংখালী রাখাইন পল্লীর পশ্চিমে মাঠে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর সন্দেহভাজন ২জন ব্যক্তি স্কুল ব্যাগ নিয়ে উত্তর-পূর্বদিকের মাঠ অতিক্রম করার সময় বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ধাওয়া করে স্কুল ব্যাগসহ উখিয়া উপজেলার জামতলী ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এ-৭ এর ৬১৭নং শেডের বাসিন্দা মৃত সালামের পুত্র রবিউল হাসান (২০) এবং হোয়াইক্যং মহেশখালীয়া পাড়ার সোলতানের পুত্র ফয়েজ উদ্দিন (২৮) কে স্কুল ব্যাসহ আটক করে। পরে স্কুল ব্যাগ তল্লাশী করে ২৯লক্ষ ৪৫হাজার ৪শ টাকা মূল্যমানের ৯হাজার ৮শ ১৮পিস ইয়াবা ও ব্যবহৃত ২টি মোবাইল পাওয়া যায়।
এই ব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (বিজিবিএম,পিএসসি) জানান,সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত ইয়াবা ও মুঠোফোনসহ ধৃত মাদক কারবারীদের টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এখন মিয়ানমারের মাদক কারবারীরা অতিরিক্ত ইয়াবা মওজুদ করেছে। এদিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাননাশের আতংকে সহজে কেউ আসতে চায়না। তখন ওপারের মাদক কারবারীরা কৌশলে নদীতে ভাসমান কাঁদা মুড়িয়ে মাদকের চালান নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এপারের মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঠেলা জাল (ফিনি) নিয়ে মাছ শিকারের অজুহাতে এসব মাদকের চালান আয়ত্তে¡ নিয়ে কারবারীদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে। বিজিবির ধৃত এই চালানটিও এই ধরনের। তবে উক্ত এলাকার বেশীর ভাগ মানুষ মাদক চোরাচালান সম্পৃক্ত হওয়ায় কেউ কারো অপকর্মের বিরুদ্ধে সহজে মুখ খুলছেনা। ###