প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এই যুগের জন্য একজন পলিম্যাথ অর্থাৎ বহু
জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি গভীরভাবে ধর্মপ্রাণ ছিলেন। যে শিক্ষা গ্রহণ
করেছিলেন তা মানুষের কল্যাণে ব্যায় করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করতেন। শিক্ষা
এবং কর্ম জীবন শেষে ‘স্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্টির সেবা’র উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন।
তাঁর ১৫০তম জন্মবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আজ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা
আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে ‘মানবতার সেবায় খানবাহাদুর
আহছানউল্লা (র.)’ শীর্ষক মাসব্যাপী কার্যক্রমের উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায়
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ
উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য, বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক ড.
এম শমসের আলী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো: গোলাম রহমান তার
বক্তব্যে বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) রচিত গ্রন্থ ও কর্মজীবন থেকে
আমাদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা নেয়ার আছে। আমাদের কাজে কর্মে, ধ্যান
ধারণায় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাকে স্বরণ করা উচিৎ।
এসময় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, হজরত
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) ছিলেন বাঙালী জাতীয়তাবাদ ভিত্তির প্রতিষ্ঠাতা।
বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অপরিসীম। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে হজরত
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) মানবজাতীর স্বাস্থ্য সচেতনতায় যে সকল
সচেতনতামূলক বানী দিয়েছিলেন তা আজও চিকিৎসা শিক্ষায় প্রচলিত আছে।
হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর শিক্ষাজীবন, রূহানী জীবন এবং তৎকালীন
সমাজব্যবস্থা সংস্কারে তাঁর অবদানের কথা বর্ণনা করে অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব ও
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ জানান,
তৎকালীন সমাজ অর্থাৎ ব্রিটিশ গভার্মেন্টের একটি প্রান্তিক সময়ে বাঙালী
মুসলমানদের শিক্ষা বিস্তারে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তাই, ১৯০৫ সালে তিনি
পদার্থবিদ্যার উপর তাঁর ১ম বই প্রকাশ করেন। এবং ১৯১১ সালে তাকে খানবাহাদুর
উপাধীতে ভুষিত করা হয়।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে
আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়িার এ.এফ.এম গোলাম শরফুদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া
মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন
মিশনের সহকারী পরিচালক ডা: নায়লা পারভিন।
উল্লখ্যে যে, মাসব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে আছে বিভিন্ন জেলায় ফ্রি চিকিৎসা
সেবা, সারভাইক্যাল ক্যান্সার নির্ণয়, তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে সভা-সেমিনার,
রক্তদান কর্মসুচি, ইসলামি ফাউন্ডেশনে সেমিনার, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা,
স্কুল কর্মসূচি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভিডিও বার্তা প্রচার, বিশেষ প্রকাশনা
ইত্যাদি।