টেকনাফ স্থল বন্দরে আলাদীনের চেরাগ ; শ্রমিক থেকে কোটিপতি শমসু মাঝি

: নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

টেকনাফ স্থল বন্দরের আলোচিত শমসু মাঝি, যার এনআইডি কার্ডে শামসুল আলম প্রকাশ শমসু মাঝির পেশার পরিচিতির স্থলে লিখা রয়েছে শ্রমিক হিসাবে। কিন্তু টেকনাফ স্থল বন্দরের শ্রমিক মাঝি হিসাবে কাজের সুবাদে আলাদীনের চেরাগের মতো রাতারাতি বদলে যায় শমসু মাঝির ভাগ্য।
স্থল বন্দরের হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ও চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের আস্থাভাজন হওয়ায় ভাগ্য খুলে যায় তার।শ্রমিকদের মাঝিগিরির পাশাপাশি শ্রমিক সেক্টরে চাঁদাবাজি, আইআরসি লাইসেন্স করে রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ পণ্যের আড়ালে থাকা ইয়াবা খালাসসহ নানা অবৈধ উপায়ে কোটিপতি বনে যান তিনি।
টেকনাফ পৌর এলাকায় কোটি টাকার জমি কিনে নির্মাণ করছেন কোটি টাকার বহুতল ভবন। আবার দুদক সহ আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে ব্যাংক লোন নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে লাগিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, পুরান পল্লান পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে একসময়ের বেকার যুবক শমসু এলাকায় বিভিন্ন দোকানপাটে বেকার সময় কাটাতেন। কিন্তু হঠাৎ করে কোটিপতি বনে যাওয়ায় এলাকাবাসীও হতবাক।

অবৈধ আয়ে কোটিপতি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত শমসু মাঝি জানান, জমিজমা ও ভবনে তার কোন টাকা নেই বিদেশে থাকা আত্মীয় স্বজনের টাকায় এই জমি সহ ভবন নির্মাণ করছেন।