বার্তা পরিবেশক : ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের রাউজান-রাঙ্গামাটি সড়কের চারাবটতল এলাকায় যুবলীগের কর্মী শহিদুল আলম (৩৫) কে কতিপয় দুস্কৃতিকারী মুখোশ পরিধান করে অনেকটা সিনেমা স্টাইলে মাইক্রোবাস থেকে নেমে গুলি করে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং- ১৪/২৮, তারিখ২৫ ফেব্রæয়ারি ২০১৫, ধারা-৩০২/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের পর এক নম্বর আসামী র্শীষ সন্ত্রাসী আজিজ উদ্দিনসহ উক্ত হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে বিদেশে গমন করে। বিদেশ থেকেই আজিজ তার বাহিনীকে পরিচালনা করত। পরবর্তীতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এর লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী, আধুনিক ও তথ্য প্রযুুক্তি ব্যবহার অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার পলাতক এক নম্বর ও মাস্টার মাইন্ডআসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানাধীন একেখান এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ ১৭১০ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামী আজিজ উদ্দিন @ আজিজ্যা @ইমু (৪৪), পিতা- মৃত বজল আহাম্মদ, সাং- হরিষখান, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
উল্লেখ্য যে, আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় ৫টি হত্যা মামলা ছাড়াও চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ সর্বমোট ১৪টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্ত্রে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।