এম.জিয়াবুল হক : চকরিয়ায় বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী (ডাবিøউএফপি)অর্থায়নে খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি কর্তৃক দেওয়া তৃতীয় দফায় সোমবার দুপুরে তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৮ শত ৩৬জন উপকারভোগীর মাঝে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও কাকারা ইউনিয়নে জনপ্রতি ১ বস্তা(৩০ কেজি) করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৭ আগস্ট) থেকে এই তৃতীয় দফার খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করা হল। চকরিয়া উপজেলায় ১৮ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১৬ হাজার ৫শত উপকারভোগীর মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
চকরিয়ায় বিতরণ শেষ হয়ে গেলে পেকুয়ায়ও এই মাসে ৫ হাজার ৫শত উপকারভোগীদের মাঝে ৩০কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া)’র এমপি জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ’র সার্বিক সহযোগিতায় এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডাবিø¬উএফপি অর্থায়নে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সুষ্টুভাবে এ কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করছে চকরিয়ার বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি (সোসাল এ্যাসিস্ট্যান্স এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দি ফিজিক্যালি ভালনারেবল)।
চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জনপদে ১৬হাজার ৫শত উপকারভোগী পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও কাকারা ইউনিয়নে এ চাল বিতরণের সময় এসএআরপিভি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইচার, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, এসএআরপিভি’র ত্রাণ সমন্বয়ক ইয়াসমিন সোলতানা, এসএআরপিভি’র আক্তার কামাল মিরাজ, এসএআরপিভি’র ডা. আবদুল মালেক, জিয়াউর রহিম, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
উলেখ্য গত জুন মাসে চকরিয়ায় ১৬ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে প্রথম দফায় দেওয়া হয়েছে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে ভাল মানের চাল ও ৫ কেজি হাই এনার্জি বিস্কুট। ওই একই সময়ে পেকুয়ায় ৭ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে দেওয়া হয়েছে ৩০ কে.জি করে ভাল মানের চাল। গত জুলাই মাসে চকরিয়া ও পেকুয়ায় এই একই পরিমান উপকারভোগীর মাঝে নগদ ৪ হাজার ৫শত টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
এসএআরপিভি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত জানান; এ কর্মসুচীর আওতায় করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় নি¤œ আয়ের চকরিয়া উপজেলার ১৬ হাজার ৫শত পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে জুন ও জুলাই মাসে দুই দফায় যথাক্রমে ৩০ কেজি করে চাল, ৫ কেজি করে হাই এনার্জি বিস্কুট. ৪ হাজার ৫ শত টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ওই একই সময়ে পেকুয়ায় ৭ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ৪ হাজার ৫শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আগষ্ট মাসে চকরিয়া ও পেকুয়ায় ২২ হাজার পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের(চলমান) মাধ্যমে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী (ডাবিøউএফপি)অর্থায়নে খাদ্য সহায়তার কার্যক্রম কর্মসূচী শেষ হয়ে যাচ্ছে। #
