টেকনাফ টুডে ডেস্ক : হ্নীলা বাসষ্টেশনে অভিজাত মার্কেটের প্রসিদ্ধ ষ্টোর,এজেন্ট ও ডিলারের আড়ালে সক্রিয় থাকা জেন্টল সিন্ডিকেটের এক সদস্য ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে আটক হওয়ায় পক্ষকাল ধরে টেনশনে থাকা গ্রæপের অপর সদস্যরা আবারো নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে। অনেকে বৈধ ব্যবসার আড়ালে কালো টাকা সাদা করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের কৌশলে আয়ত্তে¡ নিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এসব মুখোশধারী ব্যবসায়ীদের প্রকৃত তথ্য বের করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্ত প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
জানা যায়, হ্নীলা ষ্টেশনে সৌখিন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় থাকা জেন্টল গ্রæপের সদস্য এবং হ্নীলা ষ্টেশনে রাজ গ্যালারী নামে একটি অলংকার দোকানের ম্যানেজার সাতকানিয়া মির্জাখিল জামাদার পাড়ার আব্দুল মজিদের পুত্র আরাফাত হোসেন (২৩) মোটর সাইকেলে অভিনব কায়দায় ফিটিং করে চট্টগ্রাম নেওয়ার সময় পথে র্যাব-৭ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার হাফেজ নগর শাহ আমানত সংযোগে আল মদিনা কমিনিউটি হলের সামনে চেকপোস্ট স্থাপন করে (চট্রমেট্রো-ল-১৫-৯৫৪৯) মোটর সাইকেল তল্লাশি করে ১৯হাজার ৩শ ৮০পিস ইয়াবাসহ আটক করে।
হ্নীলা ষ্টেশনের এই সিন্ডিকেটের সদস্য আরাফাত ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। তখন রোজার ঈদে নেওয়ার ইয়াবার চালানের টাকা প্রশাসন খেয়ে ফেলেছে বলে টালবাহান করে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে না চাওয়ায় দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা করে দেন একটি চক্র। এরপূর্বেও এক ব্যক্তি থেকে ৪হাজার পিস ইয়াবা নেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে লংকাকান্ড ঘটে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা জেন্টল গ্রæপের ইয়াবা কারবারীরা বিষয়টি কৌশলে ধামা-চাপা দিলেও অপকর্ম বন্ধ করেনি। সর্বশেষ এই আরাফাত আটকের পর থলের বেড়াল বেরিয়ে আসে। ইয়াবা কারবারীদের টাকায় হ্নীলা ষ্টেশনে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ দোকানের মালিক বনে যাওয়া মাদক কারবারীরা রেশ কাটিয়ে আবারো কৌশলে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া ব্যক্তিরা অপতৎপরতা শুরু করতে যাচ্ছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র দাবী করেছে।
এলাকার মাদক বিরোধী সচেতনমহল বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে প্রকৃত মাদক কারবারীদের মুখোশ উম্মোচন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। ###
