নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে নয়াপাড়া শরণার্থী রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পে অসুস্থ পিতাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ঘরে ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ছেলেকে খুন করতে এসে ৭০বছরের অসুস্থ বৃদ্ধ পিতাকে গুলি করে হত্যা করল স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা দূবৃর্ত্তরা।
জানা যায়,গত ২৩ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টারদিকে নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের সি-ব্লকের এমআরসি-০৮২৫৪, শেড-৮১৮/৩ এর বাসিন্দা মৃত আব্দুল্লাহর পুত্র আবুল ফয়েজ (৭০) বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন। তখন ছেলে মোঃ ইসমাঈল ওরফে কমিটি ইসমাঈল অসুস্থ পিতাকে ক্যাম্পের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৪ডিসেম্বর রাতের প্রথম প্রহরের দিকে পিতাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পানির টাংকি এলাকায় পৌঁছলে কমিটি ইসমাঈলকে হত্যার জন্য ৪/৫জন স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্ত পেছন থেকে গুলিবর্ষণ করে। এসময় অসুস্থ বৃদ্ধ গুলিবিদ্ধ হয়ে চিৎকার শুরু করলে স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ বৃদ্ধকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পুনরায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার গুলিবিদ্ধ বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেন। পোস্টমর্টেম শেষে বিকালে মৃতদেহ ঘরে আনা হয়। বাদে মাগরবি স্থানীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সুত্র নিশ্চিত করেন।
নয়াপাড়া ক্যাম্পে গোলাগুলি ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে মারা যাওয়া বৃদ্ধের ব্যাপারে ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৬এপিবিএন পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভিকটিমের এক নিকটাত্নীয় আবু ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,একই ব্লকের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন আগে রোহিঙ্গাদের মোটাংকের বিনিময়ে নকল পাসপোর্ট তৈরী করে দিত। এই ধরনের পাসপোর্ট বিরোধ নিয়ে সালিশ হলে কমিটি ইসমাঈলেরা মিলে সালিশে ওই ব্যক্তির বিপক্ষে রায় দেন এবং তাকে ক্ষতি-পূরণ দিতে বাধ্য করে। এরপর হতে তাদের মধ্যে বিরোধের সুত্রপাত হয়। তখন হতে ঐ ব্যক্তি স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্ত গ্রুপের সাথে আতাঁত করে কমিটি ইসমাঈলের মেয়েকে অপহরণ করে ২লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। এরপর গভীর রাতে কমিটি ইসমাঈলের বাড়িতে গিয়ে হামলা এবং গুলিবর্ষণ করলে কমিটি ইসমাঈলের আরো এক মেয়ের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। ঐ দূবৃর্ত্ত গং প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে শান্তিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে অশান্ত করে তুলছে। এই গ্রুপের সদস্যদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভিকিটিমের পরিবার ও সাধারণ রোহিঙ্গারা। ###