টেকনাফ সরকারি কলেজের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি বন্ধ ও অনার্স কোর্স চালু করা হোক

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মাহবুব নেওয়াজ মুন্না :
টেকনাফ সরকারি কলেজের নাম নিয়ে এত বিভ্রান্তি বন্ধ এবং অনতিবিলম্বে অনার্স কোর্স চালু করা হোক। কলেজের নাম যেটিই ফাইনাল হলো সেটাই চলুক।
“টেকনাফ সরকারি কলেজ” – এটিই যথোপযুক্ত নাম। যেমন – রামু সরকারি কলেজ, চকরিয়া সরকারি কলেজ, পটিয়া সরকারি কলেজ, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, বান্দরবান সরকারি কলেজ ইত্যাদি।
কলেজের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি হলে শিক্ষার্থীদের তথ্য ইনপুটে সমস্যা হচ্ছে। সিভি, লিখা প্রকাশের সময় পরিচয় লিখায় ইত্যাদিতে ভুল হচ্ছে বারবার।
এমনিতেই আমাদের টেকনাফ সরকারি কলেজের পড়াশোনার মান ও কার্যক্রম নিয়ে অনেকে সমালোচনা করে, স্যার। শুনলে বড়ই দুঃখ লাগে, গর্ব করে বলতে পারি না।
গত ৩০ বছরেও কলেজটিতে উখিয়া কলেজের মতো ৭টি বিষয়ে না হলেও অন্ততঃ একটি বিষয়েও অনার্স কোর্স চালু হয়নি। সেখানে আবার কলেজের নামে “ডিগ্রী” শব্দটি বসিয়ে বেশী ফোকাস করা হচ্ছে! যা একদিকে অযৌক্তিক ও অন্যদিকে অজনপ্রিয় ডিগ্রী পাস কোর্সের নাম বেশী ফোকাস করে বদনামের ভাগীদার হচ্ছে টেকনাফবাসী। ডিগ্রী পাস কোর্স মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজেও আছে। কিন্তু কলেজের নামে তারা ডিগ্রী শব্দটি লিখে না।
আরেকটি কথা, কলেজটিতে “কলেজ মসজিদ” স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত কোন একটি কক্ষকে ইবাদতখানা হিসেবে ব্যবহার করা হোক। না হয় ছাত্ররা আরো বেনামাজি হয়ে একেবারে অধার্মিক হয়ে যাবে।
একেবারেই গাছপালা না থাকার কারণে কলেজের ক্যাম্পাস খুবই গরম। তাই অন্যান্য কলেজের ন্যায় টেকনাফ সরকারি কলেজেও প্রতিটি ভবনের সামনের গাছ রোপন ও রোপিত গাছের চারদিকে বেড়া দেয়া হোক, যাতে গরু-ছাগল না খায়। এক্ষেত্রে CODEC এনজিওর “প্রতিষ্ঠান বনায়ন” কে আপনারা বললে, তারা এসে এমনিতেই ফ্রিতে সবকিছু করে দেবে।
 
টেকনাফ সরকারি কলেজে এখনো BNCC’র শাখা কোন নাই। তাই অতিদ্রুত BNCC’র কার্যক্রম শুরু করা হোক।