চকরিয়ায় পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে অবুঝ দুই শিশু ভাই-বোনকে হত্যা চেষ্টা!

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

এম.জিয়াবুল হক : চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে গর্জনতলীর পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতর দুই অবুঝ শিশু ভাই-বোনকে হত্যাচেষ্টা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বোনের দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আগোতে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে ঘটেছে এই নৃশংসতার ঘটনা।
ঘটনার সময় শিশু ভাইকে গলায় কোপ দেওয়া হলেও সেই কোপ সহ্য করে পালিয়ে রাস্তায় গিয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
নৃশংসতার শিকার দুই শিশু ভাই-বোন হলো রিয়াজ উদ্দিন (৭) ও রাজু আক্তারকে (১০)। তারা খুটাখালী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনতলী গ্রামের আবদুর ছবির ছেলে ও মেয়ে। তন্মধ্যে শিশু রাজু আক্তার গর্জনতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় এবং রিয়াজ উদ্দিন একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দুই শিশুর বাবা দিনমুজুর আবদুর ছবির বলেন, ‘আবদুর রহিম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি আমার কাছ থেকে কিছু টাকা পাওনা ছিল। সেই টাকা দিতে না পারায় তিনদিন আগে আমার স্ত্রী মিনা আক্তারকে হুমকি দিয়ে যায়, বড় ধরণের ঘটনার শিকার হবো আমরা। সেই হুমকি দেওয়ার তিনদিনের মাথায় সোমবার আমার দুই অবুঝ শিশুকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভেতর। সেখানে দুই শিশুকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
ঘটনার সময় শিশু মেয়ে রাজুর ওপরও চালানো হয় নৃসংশতা। এ সময় রাজুর দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলাসহ শরীরের আট স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে।’
আবদুর ছবির বলেন, ঘটনার সময় ‘আমি এবং স্ত্রী মিলে ঈদগাঁও যাই, এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা দিতে। সেই সুযোগে দুই শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে পূর্ববিরোধ থাকা আবদুর রহিম ও তার লোকজন।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, জঙ্গলে দুই শিশু আহতবস্থায় পড়ে আছে খবর পেয়ে ‘আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং শিশুর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেছি।
অবুঝ দুই শিশুর প্রতি এইধরণের অমানবিকতার সাথে যারা জড়িত থাকুক কেউ রেহায় পাবেনা। জড়িতদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ##