নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে তদন্ত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিপক্ষের লোকজন বাদীর ধানি জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে ক্ষেত নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকালে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাসিয়ারকাটা উত্তর মুবিনপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
অভিযোগে জানাগেছে, বিএমচর ইউনিয়নের হাসিয়ারকাটা উত্তর মুবিনপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কৃষক মোহাম্মদ আক্কাস ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারী রেজিস্ট্রাট দলিল মূলে বেতুয়া মৌজার বিএস ৩৪০নং খতিয়ানের বিএস ১৯৬৮ দাগ থেকে ৩৮.৫০শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর নামজারী জমাভাগ খতিয়ানও (নং ৬৯৯) সৃজন করেন। জমির একপাশে সেমিপাকা বসতঘর নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে শান্তিপূর্ণ বসবাস করছেন। অপর অংশের ২০শতক জমিতে ধান চাষাবাদ করেন।
কিছুদিন আগে জমিতে চাষাবাদকালে স্থানীয় একটি দখলবাজচক্র বাধা সৃষ্টি করলে জমি মালিক বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে ১৪৪ ধারার আদেশ চেয়ে গত ২৫জানুয়ারী’২১ইং মামলা নং এমআর ৩০৬/২১ দায়ের করেন। মামলার পর গত ২ ফেব্রæয়ারী বাদী থানায় অবস্থানকালীন সময়ে দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বাদীর পিতা দেলোয়ার হোসেন কামলাদের নিয়ে জমিতে চাষাবাদ করতে যান। ওইসময় অভিযুক্ত বিবাদীরা তাকে মারধরে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনায় আহত তার পিতার চিকিৎসা শেষে ১১ ফেব্রæয়ারী চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা (নং২১১/২১) দায়ের করেন ভূক্তভোগী কৃষক আক্কাস। এতে আসামী করা হয় ইউনিয়নের পাহাড়িয়াপাড়ার শের আলমের পুত্র সিরাজুল মোস্তফা, তার ছেলে মুবিন, হাসিয়ারকাটার মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে মনছুর আলম ও পাহাড়িয়াপাড়ার মৃত আবদু রহিমের ছেলে মো: শরীফসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে।
আদালতের বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টি আদালতের সিএসআই’কে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে চকরিয়া আদালতের সিএসআই মো: সফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার ৩০মার্চ বিকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থল তদন্তে যান। ভুক্তভোগী কৃষক আক্কাস দাবি করেছেন, ঘটনাস্থল থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা চলে যাবার পর অভিযুক্তরা অন্তত ২০শতক ধানি জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে ধানক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে। কৃষক আক্কাস এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। ##