একাত্তরে যুদ্ধ হলো
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
রক্ত ঝরা যুদ্ধ হলো
মুক্তিকামী এই জনতা
কার ডাকেতে জাগলো বলো।
একাত্তরের মার্চে সাতে
অস্ত্র নিলো সবাই হাতে।
মনের ভেতর আগুন জ্বলে
আনবে স্বাধীন দেশ,
ভয় করে না জীবন দিতে
করবে শকুন শেষ।
নেতার ডাকে রাজপথে সব
ঝড়ের মতো ছোটে
বীরের জাতি এই বাঙালির
রক্ত যেন ফোটে।
রক্তে সাঁতার কেটে কেটে
আঁকা বাঁকা পথটা হেঁটে
আনলো সেদিন লাল সবুজের
মানচিত্র তারা,
শহীদ হলো অনেক ছেলে
রক্ত পলাশ যারা।
সেই নেতা কে বলতে পারো
বলতে ইচ্ছে করে
সেই নেতা তো বঙ্গবন্ধু
আছে যে অন্তরে।
আজ শুধু বঙ্গবন্ধুর নামে
রফিক আহমদ খান
সতের মার্চ বঙ্গবন্ধুর
জন্মদিন আজ
বাংলাদেশের সব গোলাপের
তাই একটাই কাজ।
তারা ফুটুক আজকের এই দিনে
শুধু বঙ্গবন্ধুর নামে
তাঁর কাছে সব সৌরভ যাবে
লালসবুজের একটি খামে।
সতের মার্চ বঙ্গবন্ধুর
জন্মদিনে
এইদেশের সব পাখি যেনো
তাঁকে চেনে।
তারা আজ গাইবে গান শুধু
দেশের জাতির পিতার নামে
যাঁর ভাষণে পেয়েছি দেশ
সাগর সমান রক্তের দামে।
খোকার স্বপ্ন
বোরহান বিশ্বাস
টুঙ্গিপাড়ায় ছিল
শেখ পরিবার
সে ঘর আলো করে
জন্ম খোকার।
মধুমতীর তীরে
ছোটোছুটি করে
ছোট খোকা বড় হয়
সবার আদরে।
মাটি আর মানুষকে
খুব ভালোবাসতো
কারো বিপদ হলে
ঝাঁপিয়ে সে পড়তো।
বাবার সঙ্গে সে
ফুটবল খেলতো
প্রতিযোগিতায়
ময়দানে লড়তো।
খোকার স্বপ্ন জুড়ে
ছিল কতো আশা
দেশের জন্য তার
সেকি ভালোবাসা!
একটি আঙুল
আবু আফজাল সালেহ
একটি হাতের একটি আঙুল
ইতিহাস মুড়িয়ে
দেয় জুগিয়ে শক্তি-সাহস
মন-মানস ঘুরিয়ে।
মুক্তি-সনদ দিতে গিয়ে
দিলেন কিছু ছবক
পথদিশারি হয়ে গেলেন
মুজিব নামের যুবক।
আঙুলটি তাই বিশ্বসভায়
হৃদয় নিয়ে কেড়ে
পরাধীনতার অর্গল ভেঙে
ঐক্য দিয়ে গড়ে।
মুজিবের ভাষণ
একাত্তুরের সাতই মার্চে
রোদ ঝলমলে আলোর দিনে
রেসকোর্সের সবুজ মাঠে
বীরবাঙালি নাচে বীণে।
তার মাঝে এক জেদি যুবক
দৃপ্তপায়ে এগিয়ে গেলেন
বজ্রকণ্ঠের জোর ভাষণে
দস্যু তাড়ার গল্প বলেন।
জনস্রোতের করতালি
বাদ প্রতিবাদ বহমান
ঘুম হারাম হয় পাকি নেতার
শেখ মুজিবুর রহমান।
তর্জনী
একটি হাত ও তার তর্জনী
থামিয়ে দিল সব গর্জন-ই।
থামিয়ে দিল গতি কাদের?
পাকি শোষক যারা তাদের।
কানকথায় নয় মনকষায় নয়
কথা ছিল যুক্তির
পাকি শোষণ তোষণ থেকে
বীর বাঙালির মুক্তির।
একাত্তরের সাতই মার্চে
তর্জনীর ইশারায়
জনস্রোত আর ঐক্যমেলায়
পশ্চিমারা ভয় পায়।