টেকনাফ টুডে ডেস্ক : ১৮৯১ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তার জন্ম ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তার বাবার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮২৯ সালে তিনি সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন প্রতিভাবান এবং ১৮৩৯ সালের মধ্যেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। পরে তিনি দুই বছর ওই কলেজে ব্যাকরণ, সাহিত্য, ইংরেজিসহ নানা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। প্রতি বছরই তিনি বৃত্তি, গ্রন্থ ও আর্থিক পুরস্কার পান। ১৮৪১ সালে সংস্কৃত কলেজ ত্যাগ করার অল্প পরেই তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা ভাষার প্রধান পণ্ডিতের পদ লাভ করেন। ১৮৪৬ সালে সংস্কৃত কলেজে সহকারী সেক্রেটারির দায়িত্ব পেলেও কয়েক দিন পরেই কাজে ইস্তফা দিয়ে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের হেডরাইটার ও কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ১৮৫০ সালে তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। তিনি কলেজে সব শ্রেণির হিন্দুদের জন্য কলেজের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। ইংরেজি ভাষা শেখাকে তিনি বাধ্যতামূলক করেন এবং বাংলা শিক্ষার ওপরও জোর দেন। অনেকে তার সমালোচনা করলেও শিক্ষা পরিষদ তার কাজের প্রশংসা করে এবং পুরস্কারস্বরূপ তার বেতন বৃদ্ধি করে। ১৮৫৫ সালে তাকে অধ্যক্ষ পদে বহাল রেখেই সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বিভিন্ন জেলায় ২০টি বিদ্যালয় ও ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তিনি বিধবাবিবাহ চালু করা, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করা এবং স্ত্রী শিক্ষাবিস্তারের জন্য আন্দোলন করেন। সাহিত্যচর্চা ও সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে তার অবদান অপরিসীম। তার উদ্যোগেই সরকারের কাছে ২৮ বার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫৫ হাজার মানুষের স্বাক্ষরের জোরে বিধবাবিবাহ চালু হয়।
