লেদায় মানসিক প্রতিবন্ধি যুবককে উত্যক্ত নিয়ে দা-কিরিচ নিয়ে সংঘর্ষের উপক্রম!

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago

বার্তা পরিবেশক : হ্নীলার লেদা ষ্টেশনে মসজিদের ভেতরে নামাজ পড়তে যাওয়া মানসিক বিকার গ্রস্থ যুবককে ঠাট্টার ছলে বিভিন্ন কটূক্তিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করার জেরধরে দু’পক্ষের মধ্যে দা-কিরিচ নিয়ে সংঘর্ষের উপক্রম হয়েছে। পরে স্থানীয় এক মুরুব্বীর মধ্যস্থতায় মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হলেও উত্তেজনা এখনো থামেনি।
স্থানীয় সুত্রমতে, গত ১৯ নভেম্বর এশার নামাজ চলাকালীন মৃত আলী আহমদের পুত্র ছৈয়দ আলম কে স্থানীয় ফরিদের পুত্র আরিফ, আলীর পুত্র ফরিদ, মইদ্দ্যার পুত্র সাদেক (১৯) মিলে নিয়্যতরত অবস্থায় (কু, কোদাল, পড়া) বলে ঠাট্টা করে। নামাজ শেষ হলে উক্ত যুবক ঠাট্টাকারীদের গালি-গালাজ করে ইট নিয়ে মারতে যায়। তখন ধাওয়া করে। এই বিষয় নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মানসিক বিকারগ্রস্থ ভাইয়ের সাথে এই ধরনের আচরণের খবর পেয়ে রাত ১০টায় লেদা পুরাত ষ্টেশনে ছৈয়দ আলমের ছোট ভাই বদিয়া এসে উত্যক্তকারীদের নিষেধ করে এবং এই পাগলের ইটের আঘাতে কারো ক্ষতি হলে কে দায়িত্ব নিয়ে বলে জানতে চাইলে উত্যক্তকারীরা তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দা-কিরিচ নিয়ে হামলার জন্য আসে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্ব লেদার শামসুল আলমের পুত্র জিয়াউল হক (২২)ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা আক্রমণ করে। এই ঘটনার শোর-গোল শুনে স্থানীয় মুরুব্বী কাদির হোছন ও বিশিষ্ট ঠিকাদার মৌলভী জামাল ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করার আশ্বাসে উভয়পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে মানসিক প্রতিবন্ধির প্রতি বার বার এই ধরনের আচরণ করে আরো অসুস্থ করে তোলার রহস্য কি বলে প্রশ্ন ছুঁড়েন। তবে হামলা করতে আসা লোকজনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এই ব্যাপারে কাদির হোছনের নিকট জানতে চাইলে সামান্য এই বিষয় নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখী হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি সন্ধ্যায় বসে সমাধান করে দেওয়া হবে।
তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন হামলাকারীরা সামান্য বিষয় নিয়ে দা-কিরিচ নিয়ে এলাকা উত্তপ্ত করার রহস্য কি তা বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ###