ফরিদুল আলম : হ্নীলায় সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে ছুরিকাঘাত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির জ্ঞান এখনো ফিরেনি। পরিবারের লোকজন এখনো হতাশ হয়ে পড়লেও চিকিৎসকেরা আশা ছাড়েনি।
সুত্র জানায়, ৫ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ১০টায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউওতে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬টারদিকে উপজেলার হ্নীলা পশ্চিম সিকদার (মন্ডল পাড়া) পাড়ায়
পুকুর পাড় সংলগ্ন বাসা হতে জনৈক ইউনুছের পুকুর পাহারাদার ও দুই সন্তানের জনক মৃত হাজী নাজির আলীর পুত্র প্রকাশ রসুন হাজীর পুত্র মোহাম্মদ ইব্রাহীম প্রকাশ লাল মনিয়া (২৫) কে একই এলাকার মৃত মাদুর পুত্র আব্দুর রহমান এবং আব্দুস সালাম দু’ভাই মিলে বাড়িতে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর পর বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে আহতের মা হামিদা খাতুন ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গেলে এই বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে গুরুতর আহত লাল মনিয়ার অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় হামলাকারীরা সটকে পড়ে। তখন আহতের মা ও পার্শ্ববর্তী লোকজন মনিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে কুতুপালং ক্যাম্প হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার আল ফুয়াদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছুরিকাঘাতে লিভার ফুটো হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এদিকে ছুরিকাঘাত যুবকের মা হামিদা খাতুন জানায়,পূর্ব পানখালী হোয়াকিয়া পাড়ার মৃত কামালের পুত্র মোঃ ইউনুছের পুকুরের পাহারাদার হিসেবে লাল মনিয়া চাকরী করে আসছে। এক সময় ইউনুছ কোন একটা বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ হোছন মাদু প্রকাশ রসুন হাজীর পুত্র আব্দুস সালামকে টর্চ লাইট দিয়ে আঘাত ও মারধর করছিল। এই মারধরের জন্য মনিয়াকে দায়ী করে আব্দুর রহমান ও সালাম মিলে মনিয়াকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের পর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
এই ব্যাপারে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার জামাল উদ্দিন, বেদম প্রহার ও ছুরিকাঘাতে মুমূর্ষাবস্থায় লাল মনিয়া চিকিৎসাধীন থাকার সত্যতা স্বীকার করেন।
