২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
টেকনাফ টুডে ডেস্ক : বাংলাদেশের উনিশতম রাষ্ট্রপতি, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমান ২০১৩ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ বর্তমান কিশোরগঞ্জের ভৈরবপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৪৫ সালে ভৈরব কেবি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে আইএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে ইতিহাসে বিএ (অনার্স) ও ১৯৫৪ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। জিল্লুর রহমান বায়ান্নর ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি যে ১১ ছাত্রনেতার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত হয়, জিল্লুর রহমান ছিলেন তাদের অন্যতম। ১৯৫৩ সালে তিনি ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নিযুক্ত হন। বাহাত্তর সালে গণপরিষদ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন এবং ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৭৫ সালে ‘বাকশাল’ গঠিত হলে তিনি বাকশালের চার সেক্রেটারির একজন হন। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর জিল্লুর রহমান একটানা প্রায় চার বছর কারাবন্দি ছিলেন। ১৯৮১ সালে জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। ১৯৯২ সালে তিনি আবার দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতার দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি আবার দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জিল্লুর রহমান অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
