সাইফুল ইসলাম : আমাদের সমাজে হরেক রকম মতবাদ, চিন্তা-চেতনা, জ্ঞানী-গুনী আবার কিছু কিছু ভিন্ন চেতনা ও ভিন্ন মতাবলম্বী মানুুষের অবস্হান রয়েছে। যদিও তাঁরা ভিন্ন মতবাদ ও চিন্তাধারার বিশ্বাসী হলেও এক সময় তাঁদের মধ্যে অনেকে নিজ সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে অবিরাম প্রয়াশ চালিয়ে গেছেন । কেউ শিক্ষা- দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে, কেউ জনবান্ধব কর্ম দিয়ে,আবার কেউ কেউ নিজ সমাজের বাস্তব চিত্র বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক তথ্য উপাত্ত উপস্হাপনের মাধ্যমে অবহেলিত ও অন্ধকারে নিমর্জিত সমাজ ব্যবস্হাকে লেখনির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে সমাজকে আলোর মুখ ও পথ দেখিয়েছেন।তবে যুগের পরিক্রমায় কিছু শ্রেণির মানুষের কৃতকর্মের কারণে আগের সেই সুন্দর,শৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্হা আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পড়েছে। ইয়াবা, মানবপাচারের মতো জঘন্য কিছু সমাজ ও রাষ্ট্র রিরোধী ক্রিয়াকলাপের বেড়াজালে অাটকে গেছে বর্তমান সমাজ। এর জন্য দায়ী কী সমাজ, নাকি যারা সমাজকে দায়ী বানিয়েছেন তারা দায়ী! অর্থ অনেকভাবে উপার্জন করা যায়। তবে যে অর্থ সমাজ,রাষ্টবিরোধী কর্ম দিয়ে অর্জিত করা হয়,সে অর্থ দিয়ে সুখ ও শান্তি পাওয়া যায়না। আর সমাজে এ ধরনের অবৈধ উপার্জনকারীদের মনে সবসময় অজানা আতংক বিরাজ করে। তারা ভালোভাবে জানে কী অপরাধ করছে এবং কী অপরাধের বীজ সমাজে রোপন করছে? কেন অামরা অবৈধ উপার্জনের জন্য আমাদের সুন্দর,সৃষ্টিশীল সমাজকে কলঙ্ক করব?কেন আমরা সমাজে অপরাধের বীজ রোপন করব? কেন আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অালোর পথ থেকে অন্ধকারে ঠেলে দেব ?এক একটি ইট দিয়ে ইটের গাঁথুনি করে সহজে ইটের দেয়াল তৈরি করা হয় আবার সে ইটের দেয়াল কিন্তু ভাঙ্গা যায় আর যদি সমাজে যদি এভাবে অপরাধের দেয়াল তৈরি হয় সে অপরাধের দেয়াল কখনো ভাঙ্গা যায় না। একবার অপরাধী হয়ে গেলে আর বাঁচার পথ থাকে না।
তাই সময় থাকতে সংশোধন হয়,নিজে বাঁচি,সমাজকে বাঁচায়,ভবিষ্যৎ প্রজন্মেকে বাঁচায়।
লেখকঃ সাইফুল ইসলাম,সহকারী শিক্ষক। ০১৮১৮০৮৩৫৩৪