জিয়াবুল হক : আসন্ন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট যুদ্ধে নেমেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আহম্মদ আনারস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উল্লাস ও সরগরম হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মানুষের মধ্যে এখন শুধু একটাই আলোচনা। চেয়ারম্যান কে হবে? কোন প্রার্থী ভোটে এগিয়ে রয়েছে। বিজয়ের মুকুট কার গলায় ঝুলবে? ভোটের হাওয়া লেগেছে টেকনাফ উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভোট যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছেন তিন হেভিওয়েট প্রার্থী। তিন প্রার্থী কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোট যূদ্ধে। প্রতিদিন পথ সভা,গনসংযোগসহ জনগনের সাথে কৌশল বিনিময় করে যাচ্ছে। চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায়। নিজেদের প্রতিকের কথা বলে ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নৌকা মার্কার গলার কাঁটা হয়েছে দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোটের হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিচ্ছে তারা। আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ ও নুরুল আলম চেয়ারম্যান নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এই তিন প্রার্থীর সমান সমান বৈরী আবহাওয়া বইছে এখন। শুরুতে নৌকার প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বিষয়টি কিছুটা হাল্কাভাবে নিলেও এখন চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অবস্থানও ততোটাই শক্তিশালী ও বেগবান হচ্ছে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আগে থেকে হতাশায় ভুগছিল। পাওয়া না পাওয়াসহ নানা বঞ্চনায় অন্তর জ্বালায় পুড়ছিল নেতাকর্মীরা। এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিএনপি-জাতীয় পার্টির এবং জামায়াতের সমর্থনও পাচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ আনারস মার্কা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে ভোট করছেন। একইভাবে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম চেয়ারম্যান মোটর সাইকেল মার্কা নিয়ে নাগরিক কমিটির ব্যানারে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছেন। দুই বিদ্রোহী প্রার্থী কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। ৩ প্রার্থী স্ব স্ব কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচারণা। ভোটের দিন রাতে ফলাফল ঘোষণার পরই জানা যাবে কার গলায় পড়ছে বিজয়ের মালা।