চট্টগ্রাম মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৭ years ago

অনলাইন ডেস্ক |
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সিটি মেয়র ছাড়াও নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন-চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চিফ এক্সিকিউটিভ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।

এর আগে গত ২৫ জুন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় মেয়রসহ আটজনকে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

মনজিল মোরশেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখলসংক্রান্ত প্রতিবেদন ২০১০ সালের ১৪ জুলাই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট ১১ দফা নির্দেশনা দেন।

ওই সব নির্দেশনায় ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিবাদীকে নদীর জায়গা থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা, জলাধার সংরক্ষণ আইনের ৫, ৮, ৬ (ঙ) এবং ধারার বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট উক্ত রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের নিকট পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মামলার বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ পাঠানোর পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সোমবার আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। সেই মামলার শুনানি নিয়ে আদালত মঙ্গলবার রুল জারি করেন।

সূত্র যুগান্তর