বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুর্নবাসনের জন্য নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচর দ্বীপে অবকাঠামো নির্মাণ শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বুধবার এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরে সরকারি পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।
ঠেঙ্গারচরকে ‘বিরান’ ও ‘অনুন্নত উপকূলীয়’ দ্বীপ উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনাকে ‘অসম্ভব’ ও ‘নিষ্ঠুর’ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এইচআরডব্লিউ’র এ আহ্বানের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ঠেঙ্গারচরে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরুর এ নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কর্মকর্তাকে ঠেঙ্গারচর পরিদর্শনে পাঠিয়েছিলেন। ওই কর্মকর্তা সেখানে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো কর্মকর্তার সঙ্গে রেজাউল করিম নামে এক কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনি এএফপিকে বলেছেন, সেখানে দ্রুত জেটি, হেলিপ্যাড এবং ভিজিটর ফ্যাসিলিটি নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব কাজ সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রেজাউল করিম।
তবে কবে থেকে সেখানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরের লক্ষ্যে সেখানে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে রাজি হলে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
মিয়ানমারের দমন-পীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন।
সরকারের ধারণা, বাংলাদেশে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এর মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন শুরু করলে এসেছে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম।
পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বেশিরভাগই কক্সবাজার জেলায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।