রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন নব্য জেএমবির নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম যুগান্তরকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বেড়িবাঁধ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত দু’জনের মধ্যে একজন নব্য জেএমবির নেতা মারজান রয়েছেন।’
জানা গেছে, মারজান গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’। তার বাড়ি পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। অবশ্য আগেই পরিবার জানিয়েছিল, স্ত্রীসহ নিখোঁজ ছিলেন মারজান।
স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে ২০১৪ সালে মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে ভর্তি হন।
গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হন মারজানের স্ত্রী আরেফিন প্রিয়তি।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গুলশান হামলার অন্যতম সমন্বয়কারী মারজান নিউ জেএমবির সামরিক শাখার একজন কমান্ডার ছিলেন। সে উগ্রবাদী চিন্তার ধারক। জেএমবির হাইপ্রোফাইল জঙ্গিদের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ ছিল।
গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার পর এসব জঙ্গির সঙ্গে তার বৈঠকও হয়। পরবর্তী হামলার জন্য ছকও তৈরি করেছিল। কিন্তু রাজধানীর কল্যাণপুরে আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে তাদের সেই ছক ভেস্তে যায়।
গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২২-২৩ বছর বয়সী মারজান ভারি অস্ত্র চালাতে পারদর্শী। সে নিজেও হাইপ্রোফাইল তালিকার একজন জঙ্গি। আটক জঙ্গি জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব ওরফে সুভাস গান্ধী জিজ্ঞাসাবাদে মারজান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে গোয়েন্দাদের।