টেকনাফ টুডে ডেস্ক :
বড় হারেও বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছে ইনজুরি কাটিয়ে কাটার মাস্টারের ছন্দে ফেরা
বড় হার দিয়ে বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফর শুরু হল। প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের কাছে তারা ৭৭ রানে হেরে গেছে।
সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোরে ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে কিউইরা ৭ উইকেটে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়ে।
জবাবে বাংলাদেশ ৩১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে ২৬৪ রান করে। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিম চোট পেয়ে ৪২ রানে মাঠ ছাড়েন। পরে আর তিনি খেলতে পারেননি।
অবশ্য রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে শুরুতেই পথ হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরেন প্রথমসারির তিন ব্যাটসম্যান- ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ওপেনার ইমরুল কায়েস দলীয় ৩৪ রানে টিম সাউদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তিনি দুই চার এক ছক্কায় ২১ বলে ১৬ রান করেন।
১২তম ওভারে জেমস নিশামের দ্বিতীয় বলে উইকেট উপহার দেন সৌম্য সরকার। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৮ বল মোকাবেলায় এক রান করে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন তিনি।
একই ওভারে দুই বল পরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে সফরকারীরা বিপদে পড়ে। সাকিবকে নিয়ে একপ্রান্ত আগলে থাকা তামিম ইকবাল দলের হাল ধরেন। ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙে দলীয় ৮১ রানে, স্যাটনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে নিশামের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। তামিম ৫ চারে করেন ৩৮ রান।
এরপরই দলের সফল জুটি উপহার দেন সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। বলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অসাধারণ সব স্ট্রোকে অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব। কিন্তু দলকে পথ দেখাতে নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে ব্যর্থ হন এই অলরাউন্ডার। দলীয় ১৪৪ রানে ফার্গুসনের বলে টিম সাউদির হাতে ধরা পড়েন সাকিব, ৫৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রান করে।
সাব্বির রহমান এসে ভালো শুরুর আভাস দেন। কিন্তু ভাগ্য তাকে সহায়তা করেনি। ফার্গুসনের আগের বলে বিশাল ছক্কা হাকানোর পরের বলেই দলীয় ১৬৭ রানে বোল্টের তালুবন্দি হন সাব্বির, ১১ বলে এক ছক্কায় ১৬ রান করে।
এখান থেকেই দারুণ প্রতিরোধ গড়েন মুশফিক আর মোসাদ্দেক হোসেন। দু’জনে ৫২ রানের জুটি গড়ার পরই টাইগার শিবিরে আসে মূল আঘাত।
টিম সাউদির বলে দ্রুততর সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ড্রাইভ দেন মুশফিক। এ সময় তার হাত ঘুরে পিঠের নিচে পড়ে। এতেই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশের হারটা ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সেখান থেকেও মোসাদ্দেক লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আরেকবার নিজের প্রতিভার দারুণ স্বাক্ষর রাখেন।
অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে ২৩, তাসকিন আহমেদের সঙ্গে ১০ ও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ১২ রানের জুটি গড়েন মোসাদ্দেক।
৪৪তম ওভারে পঞ্চম বলে মুস্তাফিজ সাউদির বলে বোল্ড হলে বাংলাদেশ থামে ৯ উইকেটে ২৬৪ রানে। মোসাদ্দেক শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।
স্বাগতিকদের পক্ষে নিশাম এবং ফার্গুসন ৩টি করে এবং টিম সাউদি ২টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন শতক করা ল্যাথাম।
এর আগে টস জিতে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে ৩৪১ রান করে। দলের পক্ষে ওপেনার টম ল্যাথাম ১৩৭ ও কলিন মুনরো ৮৭ রান করেন। টাইগারদের পক্ষে সাকিব ৩টি এবং মোস্তাফিজ ও তাসকিন দুটি করে উইকেট পান।