রফিক মাহামুদ, উখিয়া ॥
টেকনাফের শিলখালী এলাকায় প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে একটি অসুস্থ বন্য হাতি লোকালয়ে চলে আসলেও বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ কোন খরব জানে না। লোকালয়ে চলে আসা হাতিটি দেখার জন্য স্থানীয় উৎসুক জনতা ভীড় জমিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন গত এক সপ্তাহ পূর্বে বন্য হাতিটি টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী এলাকার গেম রিজাভের অধীনে জাহাজপুরা শিলখালী রেঞ্জের আওতাধীন ইকোহেভিটেট (পশু খাদ্যবাগানের) কাছাকাছি পায়ে আঘাত নিয়ে সপ্তাহ ধরে অবস্থান করে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনও নজরে আসেনি। অসহায় অবস্থায় হাতিটি পড়ে থাকতে ও লোকালয়ে গুরা ফিরা করতে দেখে স্থানীয় সচেতন মহলের মাঝে একধরনের আতংক সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বনবিভাগের খামখেয়ালী ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবহেলার কারণে হাতিটি দিনে দিনে অসুস্থতাজনিত কারণে অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে তাদের ধারণা। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দারুস সালাম নিশান জানান, হাতিটি দীর্ঘ ১ সপ্তাহ ধরে গভীর বনজঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে। এলাকার লোকজন হাতির কাছাকাছি গিয়ে ঢিল ছুড়াছুড়ি করলেও পায়ের ব্যাথার কারণে নড়াছড়া করতে পারছে না। টেকনাফ বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ইকো গাইড সাইফুল ইসলাম সাকের হাতিটি লোকালয়ে চলে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাতিটি পায়ে আঘাত পেয়ে কয়েকদিন ধরে অসহায় অবস্থায় লোকালয়ের নিকটে পড়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বনবিভাগ কিংবা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ হাতিটিকে সুস্থ করার বা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কোন উদ্যোগ নেয়নি। তিনি বন্য প্রাণী অপারাধ দমন বিভাগের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বন সংরক্ষক সরওয়ার আলমের সাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাতিটি লোকালয়ে চলে আসার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাতিটি বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসার খবর শুনেছি। অনেক সময় হাতির দল থেকে একটি দল ছুটে একা হয়ে গেলে মানষিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে পায়ের আঘাত কিনা সেটা দেখার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
লোকালয়ে অসুস্থ বন্য হাতি : দীর্ঘ ১ সপ্তাহ পার হলেও বন বিভাগের খবর নেই
