এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া |
চকরিয়ায় আবদুল মজিদ (৭৬) প্রকাশ মজিদ বলি নামের এক আওয়ামীলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী ব্রীজের নীচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আবদুল মজিদ চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও খোন্দকার পাড়ার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, চকরিয়া থানা সেন্টার এলাকার নুর হোছাইন নামের এক প্রবাসী ব্যবসায়ীর কেয়ারটেকার ছিলেন মজিদ। কিছুদিন পূর্বে ওই প্রবাসী বাটাখালী ব্রীজ এলাকায় কিছু জমি ক্রয় করেন। সোমবার রাতে পৌরসভার খোন্দকার পাড়া এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত ওই জমি জবর-দখল করতে যান। খবর পেয়ে আবদুল মজিদ রাতে সেখানে গিয়ে বাঁধা দিতে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে ব্রীজের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত মজিদ বলির দ্বিতীয় স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম বলেন, আমার স্বামী জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলে সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে বাটাখালী ব্রীজের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, আমার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বাটাখালী ব্রীজের নীচে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়। থানার এসআই আবদুল মাজেদের নেতৃত্বে পুলিশদল লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। তিনি বলেন, নিহতের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেয়া হলে মামলা নেয়া হবে।
এদিকে নিহতের গ্রামের প্রতিবেশি চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী শ্বাসরোধে আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মজিদকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে আহবান জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি নিহতের আত্মার মাগফেরাত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
চকরিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ সেতুর নীচ থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার!
