চকরিয়া আল-রাজী চক্ষু হাসপাতাল উদ্বোধন

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago

এম.জিয়াবুল হক : চক্ষু রোগীদের জন্য আধুনিকমানের চিকিৎসাসেবার অপার সম্ভাবনা নিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের বাণিজিক জনপদ সোসাইটির প্রাণকেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ‘আল-রাজি চক্ষু হাসপাতাল’। রোববার ৩ নভেম্বর সকালে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চকরিয়া পৌরশহরে নতুন এই হাসপাতালটি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, পৌরসভার কাউন্সিলর মুজিবুল হক, সমাজসেবক আহমদ রেজা, সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, আলরাজী চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পচিালক মোহাম্মদ রুহুল কাদের, পরিচালনা কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান, এরফান উল্লাহ রায়হান, মোহাম্মদ ইউনুছ, হেলাল উদ্দিন, মুসলেহ উদ্দিন রিয়াদ, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ রাসেল, চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও শিবলী নোমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যত সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে প্রতিবারই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে জনগনের চিকিৎসা সেবার মান্নোয়নে কাজ করেছে। জনগনের মাঝে শতভাগ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। যন্ত্রপাতির পাশাপাশি জনবল বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। জনগনের দৌড়গোড়ায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আশাকরি আগামীতে আধুনিকমানের চিকিৎসা সেবা সম্ভাবনায় অন্ধজনকে আলো দেখাবে চকরিয়া আল-রাজী চক্ষু হাসপাতাল।
অনুষ্ঠানে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারিতে আজ চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতাল ৫০ সয্যা থেকে একশ সয্যায় উন্নীত হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এখানে নির্মিত হবে নতুন আরও পাঁচটি ভবন। এই অগ্রগতির মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলায় চিকিৎসাখাতে আসবে সুদিন। তাই এখন থেকে সরকারি হাসপাতালের সেবার পাশাপাশি সকল বেসকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে জনগনের মাঝে কম খরচে সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ভুমিকা রাখতে হবে। সেবার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ধারণা বদলাতে হবে। ##