শ.ম.গফুর, উখিয়া :
উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুতে বিজিবির হাতে কয়েক ব্যবসায়ী প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনারসুষ্ঠু বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সব দোকানপাট বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম জানান, তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ওয়াহিদ যোগদানের পর থেকে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছেন। রমযান মাসে তারাবীর নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথেও দুর্ব্যবহার
করে লাটিপেটা করা হয়। তার নির্যাতন থেকে নিরীহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পথচারী ও সুশীল সমাজ পর্যন্ত রেহাই পায়নি। ধারাবাহিকতায় ৬ জুন দিবাগত রাত আটটার পর তারাবী নামায পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চা দোকানি ছৈয়দ আলম (২৫), মোকতার মিয়া (২২), আবুল কাসেম (২২), পানের দোকানি জাহেদ আলম (২৫), আবদুর রহমান (২১) কে পৃথক ভাবে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে জানান। একই ভাবে তুমব্রু বাজারের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর করা ছৈয়দুল বশর (২০), ছৈয়দুল ইসলাম (২৬) ও জাহাঙ্গীর আলম কেও দোকানে ঢুকে মারধর করেন কোম্পানি কমান্ডার ওয়াহিদ। তারা অভিযোগ করে আরো জানান, প্রায়শঃ কোম্পানি কমান্ডার ওয়াহিদ তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ীদের
নিকট থেকে চাঁদা চেয়ে না পেলে মিথ্যা ইয়াবা আটকের মামলায় আসামী করারও হুমকি দিতেন। সমপ্রতি সময়ে তুমব্রু টহল দলের হাতে গ্রেফতার হওয়া ইয়াবা সহ এক মিয়ানমার যুবকের বিরুদ্ধে করা মামলায় তুমব্রু এলাকার ৪ নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে জানান। বিজিবির হাতে বিভিন্ন সময়ে নিগৃহীত হওয়া তুমব্রু এলাকার ব্যবসায়ীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবী করা হয়। প্রতিবাদে তুমব্রু এলাকা ও বাজারের অর্ধশতাধিক দোকান পাঠ বন্ধ রয়েছে। শত শত ব্যবসায়ী -জনতা উত্তেজিত অবস্থায় ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। ঘুমধুম তদন্ত পুলিশের টুআইসি খবর পেয়ে তুমব্রু বাজারে ফোর্স সহ টহলে যান। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে থাকার কথা জানান। তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ওয়াহিদ জানান, কোন ধরণের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভ্রান্ত, বানোয়াট, এসব স্থানীয় চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন। চেয়ারম্যান সাহেব চোরাচালানীদের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন বিজিবির সোর্সের প্রতি আক্রোশের বশিভুত হয়ে এসব রটাচছে বলে দাবী করেন। এদিকে বিজিবি -চোরাই ব্যবসায়ীর এঘটনার ফাঁন্দে পড়ে বহু ভোক্তা সাধারণকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তবে সুশীল সমাজ অদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করা হয়।
