বর্জনের পরও প্রহসনের নির্বাচন হলে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা
সাদ্দাম োসাইন :
টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক নির্বাচনে কৌশলে কতিপয় অভিভাবকদের মনোনয়ন ফরম বিক্রি না করেই জামায়াত-বিএনপির লোকজনের সঙ্গে পাঁয়তারা করে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠন। আসন্ন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বন্ধ না করলে সংগঠিত ঘটনার দারভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে বলে হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে।
৩০এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আসন্ন ২মের অভিভাবক নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীণ মুরুব্বী হাজী মোঃ ইসমাঈলের সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মুফিজুর রহমান কাজলের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর আলম সাদেক। বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ মামুন প্রমুখ। এছঅড়া উপস্থিত ছিলেন হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আলম গুরা,অর্থ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন,যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন,আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান বাবু,ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সরওয়ার কামাল,ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সালমানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তারা বলেন, জামায়াত-বিএনপির এককালের ঘাটি রঙ্গিখালীতে আমরা যারা আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা এই স্কুলটিকে পুঁজি করে ঐ চক্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। স্থানীয় ইয়াবা মেম্বারের ইন্দনে জামায়াত-বিএনপি একজোট হয়ে আমাদের দলীয় এমপিকে ফুসলিয়ে আবারো তাদের গোপন কার্যক্রম চালানোর পায়ঁতারা চালাচ্ছে। উক্ত চক্রটি আওয়ামী লীগ সমর্থক অনেক প্রার্থীদের সময় পার হয়ে গেছে বলে ফরম দেয়নি অথচ অপর প্রার্থীরা কিভাবে ফরম নেয় বলে প্রশ্ন ছুঁেড় দেন। উক্ত নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী এই ধরনের প্রার্থী সোলতান আহমদের স্ত্রী জোহুরা বেগম,গবী সোলতানের পুত্র রশিদ আহমদ,গুরা মিয়ার পুত্র রুহুল আমিন,আব্দু শুক্কুরের স্ত্রী নুর নাহার প্রতিকার চেয়ে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি জাফর আহমদ বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। তিনি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে আসন্ন ২মে নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। আমরা ইয়াবা গডফাদারের ইন্দন ও জামায়াত-বিএনপির যোগ-সাজশে অনুষ্ঠিতব্য এই পাতানো বয়কট ঘোষণা করছি। প্রয়োজন তারিখ পরিবর্তন করে সকলের অংশ-গ্রহণের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানান। এরপরও জোরপূর্বক নির্বাচনের আয়োজন করা হলে কোন ধরনের সহিংস এবং অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার সংশ্লিষ্ট বহন করতে হবে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। এদিকে উক্ত প্রাইমারী স্কুলের অভিভাবক নির্বাচন নিয়ে দু’পক্ষের কঠোর অবস্থানে বড় ধরনের সংঘাতের আশংকা প্রকাশ করছেন নিরীহ সাধারণ মানুষ।