হ্নীলা বাজারে তরকারীর দাম গরীব ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে ; বিক্রেতাদের দাবী ক্রয় মূল্য বেশী

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

বিশেষ প্রতিবেদক : বৃহত্তর হ্নীলা ষ্টেশন শাক-সবজি ও তরি তরকারীসহ নিত্যপণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী রয়েছে। ফলে চরম বেকায়দায় পড়েছে নিম্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারের লোকজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলু, পেঁয়াজ, ঢেড়ঁশ, বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। ২০/২৫টাকার শসা দাড়িয়েছে ৪০/৪৫ টাকায়। কলমি শাক, লাল শাক, মূলা শাক, মিষ্টি কুমড়া শাক ২০/৩০টাকার উপরে। পেয়াঁজের দাম একশ টাকার চেয়ে উর্ধ্বমুখী রয়েছে। বাজারে দেশীয় ভালো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার উপরে , যা গত সপ্তাহে ৭৫ টাকায় ছিল। এই সপ্তাহে নতুন করে বাজারে আসা বড় আকারের পাকিস্তানী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের চেয়ে এর মান খারাপ।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে কয়েকজন সবজি বিক্রেতা জানান, “শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বেশ চড়া। গত কয়েকদিনের মধ্যে সবজির দাম হঠাৎ বেড়েছে। কারণ হিসেবে স্থানীয় চাষাদের নিকট এবং আড়ত হতে চড়ামূল্যে কেনাকে দায়ী করছেন।

একইভাবে দোকানে প্রতিটি লাউ ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গের কেজি ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০-২৪০টাকা, বেগুন করলা ৭০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। চাল, ডাল, মুরগির মাংসসহ আরো কিছু নিত্যপণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো বলবত রয়েছে।

এদিকে সবজি ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এসব নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে নিত্যপণ্যের বাজার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় করোনাকালীন বেকার হয়ে পড়া দরিদ্র ও শধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে তীব্র হতাশা দেখা দিয়েছে। তাই এসব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।