হ্নীলা নয়াপাড়ায় সামাজিক বনায়ন অংশীদারদের যোগসাজশে রোহিঙ্গা বসতি তৈরী!

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৮ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়ায় সামাজিক বনায়নের কতিপয় উপকারভোগীদের যোগসাজশে বনায়নের চারা গাছ কেটে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে এই বনায়নের উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠেছে।
গত ৭ ডিসেম্বর রাত ৯টারদিকে নয়াপাড়ার জনৈক আনোয়ারের বাড়িতে এই বিষয়ে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্থ বনায়নের জন্য আর্ন্তজাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হতে ক্ষতিপূরণ দাবীর পাশাপাশি বন বিভাগের অজান্তে প্রতি রোহিঙ্গা বাড়ি ১হাজার টাকার বিনিময়ে বসানোর সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।
উক্ত বৈঠকে ঐ বনায়নের অংশীদারদের নেতৃত্ব স্থানীয় দুই ব্যক্তিসহ ১০/১৫জন উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে ফাঁস হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাণিজ্যকারী মুখোশধারীদের নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাণিজ্যকারীদের প্ররোচনায় সামাজিক বাগানের ৮২হাজার চারাগাছ কেটে রোহিঙ্গা বসতি গড়ার জন্য ইন্ধনদাতারা এখন রাতের আঁধারে বসে এই অপকর্ম শুরু করেছে। গত ২৫ নভেম্বর ভোররাতে মোচনী বনবিটের নয়াপাড়ায় সৃজিত ৭৫ একরের সামাজিক বাগানে একদল রোহিঙ্গা বসতি গড়ার জন্য চারাগাছ কাটে। খবর পেয়ে মোচনী বিটের বিটকর্তা,এফজিসহ বনের কতিপয় নেতা বাঁধা দেয়। কিন্তু সুবিধাভোগী মহলের ইন্ধনে রোহিঙ্গারা উত্তেজিত হয়ে উঠলে উচ্ছেদকারীরা ফিরে আসতে বাধ্য হয়। চলতি বছরের গত জুন মাসে ৭৫একর ভূমিতে ২০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে বিভিন্ন প্রজাতির ৮২হাজার চারা রোপন করা হয়। কিছু রোহিঙ্গা ব্যবসায়ী মুখোশধারী নেতা রোহিঙ্গা বসতি তৈরী পূর্বক ভাড়া আদায় করে পকেটভারী করার জন্য নাটকীয়তার আশ্রয় নেয়। এই চক্রের গোপন বৈঠকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তখন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির সাংবাদিকদের জানান,বাগান অংশীদারদের কারো যোগ-সাজশ থাকলে তদন্ত স্বাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা দ্রæত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদৈর মুখোশ জনসম্মুখে উম্মোচিত করার দাবী উঠেছে।