বিশেষ প্রতিবেদক : টেকনাফে বিজিবি জওয়ানেরা হ্নীলা জাদিমোরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে ৭০হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করেছে। এই ঘটনায় আতœস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাসান আব্দুল্লাহ এবং তার ভাইকে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, গত ৭নভেম্বর রাত ১০টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপির বিশেষ টহল দল মিয়ানমার হতে মাদক পাচারের সংবাদ পেয়ে জাদিতলা কামালের জোড়া ও নজু মেম্বারের প্রজেক্ট এবং ঝাউ বাগানের আঁেড় কৌশলে অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর ২জন দুস্কৃতকারী নাফনদী পার হয়ে ১টি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে প্রজেক্টের রাস্তা হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তখন বিজিবি জওয়ানেরা তাদের দাড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করে সামনে অগ্রসর হতে থাকে। তারা বিজিবির উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই ব্যাগটি ফেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কেটে মিয়ানমার সীমান্তে চলে যায়। পরে টহল দল ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ব্যাগটি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ২কোটি ১০লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৭০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এই মাদকের চালানের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আতœস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী,সদ্য সমাপ্ত ইউপি ন্বির্বাচনে পরাজিত হয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর উপর স্বশস্ত্র হামলাকারী,সাবেক মেম্বার আবুল মঞ্জুরের পুত্র মোঃ হাসান আব্দুল্লাহ এবং তার ভাই মোঃ ইউছুপ (২৭) কে পলাতক আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (বিজিবিএম, পিএসসি) জানান, জব্দকৃত ৭০হাজার ইয়াবার মামলায় উপরোক্ত দুজনকে পলাতক আসামী করে জব্দকৃত ইয়াবা টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়াকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র গ্রুপের সাথে আঁতাত করে মাদক বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। অত্র এলাকার সংঘবদ্ধ গ্রুপের মূল উৎপাটন করা না গেলে সীমান্ত অপরাধ কমিয়ে আনা দুরূহ হয়ে পড়বে বলে সচেতন মহলের ধারণা! ###