হ্নীলা ইউপি সচিবকে জড়িয়ে এফবি ও অনলাইনে অপপ্রচারের ব্যাখ্যা এবং প্রতিবাদ

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

বার্তা পরিবেশক : সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গত ২৫ এপ্রিল উখিয়া নিউজ টূডে অনলাইনে প্রকাশিত ‌‌‌‌‌‌‌‌করোনা ত্রাণ : ২নং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ফরিদুল আলমের দুর্নীতির মহোৎসর দেখার কেউ নেই সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত আমাকে লাঞ্চিত এবং অপমান করার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে (১ম) হ্নীলা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন ইয়াবা ও অস্ত্রের মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। উক্ত ওয়ার্ডের করোনায় ভাইরাস কোভিট-১৯ এর কারণে জীবিকা হারানো ব্যক্তি ও পরিবারের তালিকা প্রস্থত করেন চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও মাহিলা মেম্বার নাসরীন পারভীন। এতে ইউপি সচিবের হাত নেই। ইউপি সচিব শুধু সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন।

(২য়) সরকার কর্তৃক ১০ টাকা মূল্যের চালের কার্ড খাদ্য মন্ত্রী প্রেরিত চিঠি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মহোদয়ের নির্দেশে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন উক্ত তালিকায় ডাবল ও সরকারের অন্য কোন সুবিধা পায় কি না দেখেন। যারা ভিজিডি, বিধবা ভাতা পেয়ে থাকেন তাদের উক্ত তালিকা থেকে চেয়ারম্যানের সূপারিশক্রমে বাদ দেওয়া হয়। এই বাদ পড়া তালিকার ব্যক্তিগণ ও তাদের স্বজনেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন সংবাদ প্রচার করেন।

(৩য়) এনজিও সংস্থা ব্র্যাক কর্তৃক ১৫০০ টাকা বিতরণ প্রসঙ্গে। ব্র্যাক এনজিও উপকার ভোগীদের তালিকা স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী প্রস্তুত করেন। ব্র্যাক প্রতিনিধিগণ অইডি কার্ড যাচাই করে উপকার ভোগীর হাতে ১৫০০ টাকা নগদ বুঝিয়ে দেন। বিতরণের সময় সচিব উপস্থিত ছিল না।

(৪র্থ) আমার ভাই নুরুল আলমের বাড়ি হতে রাতের অন্ধকারে ত্রাণের চাল সরিয়ে নেওয়ার যে তথ্যটি প্রচার করে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

(৫ম) নাটমোরা পাড়া রিয়াজ উদ্দিদের স্ত্রী নুর জাহান প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে ভিডিডি চাল পায়। মৌলভী ইলিয়াছ এর স্ত্রী প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডি চাল পায়। বিধায় ১০ টাকার দামে চালের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ পড়ে। বিশেষ কিছু ব্যক্তি সুবিধা না পাওয়া আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার মাত্র।

ইতিমধ্যে পরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে,যার কার্ড দিয়ে তাকে চাউল উত্তোলন করতে হবে। এতে একই পরিবারে একাধিক সুবিধাভোগী ক্ষিপ্ত উঠে। আর যে সকল ইউপি সদস্যগন ইয়াবা ও অস্ত্র মামলায় পালাতক রয়েছেন তাদের ভাই ও আত্নীয়দের বরাদ্দ না পাওয়ায় আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এই অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরীর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দুঃসময়ে এসব না করে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রকৃত অসহায়দের সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করি।

প্রকাশিত উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী :
শেখ মোঃ ফরিদুল আলম
ইউপি সচিব, ২নং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ, টেকনাফ।