সম্প্রতি দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ, দৈনিক সৈকত পত্রিকা ও টেকনাফ নিউজ অনলাইনে হ্নীলা ইউপির দুই চৌকিদার সংক্রান্ত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা ইয়াবা ব্যবসায়ী, মাদক সেবী, চাঁদাবাজ ও সোর্স পরিচয়ীদের সাজানো ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমরা হ্নীলা ইউপির ৩ ও ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ তথা চৌকিদার হই। ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়ে পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে তাদের সহায়তা করে থাকি এটাই আমাদের অপরাধ।
চলমান ইয়াবা বিরোধী অভিযান ব্যাহত করতে টেকনাফ থানার চৌকষ অফিসারদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও নেতা পরিচয়ী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আশ্রয়দাতারা মিলে মোটাংকের বিনিময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অপ-প্রচার চালিয়ে সুযোগ নেওয়ার পায়তারা চালায়। যা ইতিপূর্বে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের কূল-কিনারা পায়নি। এবার চৌকিদারদের বিরুদ্ধে একই অবস্থান নিয়েছে এই চক্রটি। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন স্থানে কর্মরত চৌকিদারেরা হুমকি, হামলা ও তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। উক্ত সংবাদে মাদক ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের সাজানো কল্পকাহিনী আমাদের হতবাঁক করে দিয়েছে।
আমরা কারো কাছ থেকে জোর করে চাঁদা নিয়েছি এই জাতীয় প্রমাণ দিতে পারলেই আমরা স্বেচ্ছায় আইনের কাঠগড়ায় দাড়াব। আর আমাদের ৫/৭কানি জমি রয়েছে বলে যে গাঁজাখোরী গল্প দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য সংবাদ সরবরাহকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছি।
সুতরাং আমাদের মত নিম্ম পেশার মানুষ নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রচার করে, কারা সুবিধা আদায় করতে চায় তা স্থানীয় সকলে অবহিত রয়েছে।
আমরা উক্ত মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী :
নুরুল আমিন চৌকিদার
৩নং ওয়ার্ড
নুর হোসেন চৌকিদার
৫নং ওয়ার্ড-হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ।