হুমায়ূন রশিদ : হ্নীলায় পারিবারিক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে উপজেলার হ্নীলা শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণীতে অধ্যয়নরত হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার জনৈক শারমিন আক্তার (১২) বাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট ছাত্রী মাদ্রাসা ছুটি হলে আত্নহননের জন্য দৌড়ে যেতে থাকে। তখন মনে শংকা থাকায় দুই বান্ধবী পেছন দিয়ে যায়। এক পর্যায়ে হ্নীলা কাস্টমস ঘাটের উত্তর-পূর্ব পার্শ্বে মৎস্যঘেঁর হয়ে নাফনদীতে আত্নহননের লক্ষ্যে লাফ দিলে পেছনে থাকা বান্ধবীরা চিৎকার করে। তখন বিষয়টি বাঁশঘাটে কর্মরত শ্রমিকদের নজরে এলে তারা দ্রুত গিয়ে এই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে। আত্নহননের এই পথে কেন পা বাড়িয়েছে তা জানতে চাইলে অভিমানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার কয়েকজন ঘণিষ্ট বান্ধবী এই মাদ্রাসা ছাত্রী সম্পর্কে বলেন, সে পারিবারিক নির্যাতনের কথা বান্ধবীদের জানিয়ে ক’দিনের মধ্যে মারা যাওয়ার ঘোষনা দেন। হয়তো এই ধারনায় সে এই ঘটনার আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। উদ্ধারকারীরা এই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করলে প্রাইভেটে নিয়োজিত একজন শিক্ষিকা ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। ঐ শিক্ষিকার পরামর্শক্রমে তাকে বাড়িতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়ের প্রতি কি ধরনের আচরণ হলে মৃত্যুর পথে পা বাড়ায় তা নিয়ে জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।