হ্নীলায় মাদ্রাসার মাঠ জবর দখলের অভিযোগ শীর্ষক সংবাদের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

বার্তা পরিবেশক : গত ১২জানুয়ারী টেকনাফ টুডে ও টেকনাফ টাইমস্ অনলাইন ও ১৩জানুয়ারী স্থানীয় দৈনিক হিমছড়ি ও রূপসীগ্রাম সংবাদপত্রে প্রকাশিত “হ্নীলায় হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসার মাঠ জবর-দখলে নেওয়ার অভিযোগ!” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ভাড়াটে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী এনেছে বলে গুজব ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমি সকলের অবগতির জন্য জানাতে চাই যে,হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মরহুম উলা মিয়া (৫) কন্যা ও (৭) পুত্র রেখে যান। তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি দক্ষিণ হ্নীলা মৌজার জেএল নং-০৫, বিএস খতিয়ান নং-১১৯০, বিএস দাগ-৮৪৪৫, ৮৪৫৪, ৮৪৫৮, ৮৪৬০, ৮৪৪২, ৮৪৩৭, ৮৪৪০, ৮৪৩৯, ৮৪৪১, ৮৪৬১, ৮৪৪৮ ও ৮৪৪৯ তুলনামূলক দিয়ারা খতিয়ান নং-৮৫৯, দিয়ারা দাগ নং-৭৪১০-এ ২.০২ একর সম্পত্তি রেখে গেছেন। তা ভাজ্যনামা করে প্রতি ছেলে ৬৩.৭৮ কড়া এবং প্রতি কন্যা ৩২ কড়া জমি পায়। তার পুত্র নুরুল আলম এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের পৈত্রিক সম্পত্তি পায়নি এবং অপরাপর ওয়ারিশদের দখলে রয়েছে। নুরুল আলম তার প্রাপ্য পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ২০১৮ইং সালে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদে একটি সালিশ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গ্রাম আদালত বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষ হাজির করে প্রতিনিধির মাধ্যমে উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে নুরুল আলমের ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্য জমি ১৫ দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। গ্রাম্য আদালতের নির্দেশনার পরও অদ্যবধি নুরুল আলমের পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে পায়নি।

এরই মধ্যে অপর ওয়ারিশ নুরুল আমিন মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে জবর-দখলে নেয়। অথচ নুরুল আলম উক্ত মাদ্রাসায় কোন ধরনের জমি দান করেননি। গত কয়েক দিন পূর্বেও এই বিষয়টি নুরুল আলমের ছেলে সাজেদুর রহমান নাঈম চাচা নুরুল আমিনের সাথে শেয়ার করলে তিনি বলেন, তোমার যা ইচ্ছে তুমি তাই কর বলে এড়িয়ে যান ; তাই আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করেছি। আর আমার পিতা জমি দানের কোন তথ্য প্রমানাদি দেখাতে পারলে দেশের প্রচলিত আইনের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব।
উক্ত ভিত্তিহীন সংবাদে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে মানহানিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী :
সাজেদুর রহমান নাঈম
পিতা:- নুরুল আলম
সাং-পশ্চিম সিকদার পাড়া, হ্নীলা, টেকনাফ। ##