বার্তা পরিবেশক : গত ৪মে টেকনাফ টুডে ও ৫মে কক্সবাজার ভয়েস অনলাইনে বিভিন্ন শিরোনামে “হ্নীলায় পৈত্রিক সম্পত্তি জবর-দখলে হুমকি-ধমকি ও হয়রানির অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে আমার বিরুদ্ধে ভাতিজার সাজানো অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার পিতা মৃত ছমি উদ্দিনের রেখে যাওয়া সম্পত্তি হতে ৫ ছেলে এবং ৪ মেয়েরা ওয়ারিশ হিসেবে যা পাওয়ার তা সকলে পেয়েছে। ভাইদের মধ্যে সৌদি প্রবাসী অপর ভাই মীর কাশেমের ওয়ারিশ সম্পত্তি ছাড়াও ছোট ভাই ছিদ্দিক হতে ২ কানি জমি ক্রয় করে। তা দেখাশুনা করার জন্য আমি জাফর আলমকে দায়িত্ব দেয়। এরপর আমার ভাই মাষ্টার সোলাইমানের মৃত্যু হলে আমার ভাবী ও ভাইপোরা অসহায় হয়ে পড়ে। তখন মানবিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয়-গণ্যমান্যদের পরামর্শক্রমে প্রবাসী মীর কাশেমের ২২শতক জমি আমি ভাতিজাদের চাষাবাদ করে ভোগ করার জন্য দিই। যা তারা গত ২০বছর ধরে ভোগ-দখল করে আসছে। এখন ভোগ-দখল করতে দেওয়া জমি জোর করে বিক্রি করতে চাইলে আমি বাঁধা প্রদান করি। তখন আমাদের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। আর উক্ত সংবাদে হামলা করতে যাচ্ছি বলে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা। আমি আর আমার ছেলেরা করলা ক্ষেত হতে কাজ করে ফিরে আসার সময় তাদের চুরি করে মোবাইলে তোলা ছবি। তা নিয়ে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে প্রকৃত ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।
এই জমি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় সালিশ থাকলেও তারা কৌশলে এই জমি বিক্রি করায় চেষ্টা করে আসছে। এই জমি বিক্রি করতে নিষেধ করায় সাজানো ষড়যন্ত্র করে এই অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। আমি উক্ত ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী :
জাফর আলম
পিতা-মৃত ছমি উদ্দিন
সাং-পশ্চিম পানখালী, হ্নীলা, টেকনাফ। ###