জসিম উদ্দিন টিপু : হ্নীলায় এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পুরো টেকনাফ জুড়ে তোলপাড় চলছে। গ্রাহকরা উক্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক জানায়,উপজেলার হ্নীলা ষ্টেশনের পুরাতন বাজার রোড়ের এবি সুপার মার্কেটস্থ আবেদীন ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড মটরস পরিচালিত এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে টাকা চুরির ঘটনা দীর্ঘদিনের।
গত ২৪জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় উক্ত এজেন্ট ব্যাংকে গ্রাহকের টাকা চুরির ঘটনা প্রমাণের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসতে শুরু করে। লোকেমুখে উক্ত ঘটনা প্রকাশ পেতে থাকলে এজেন্ট ব্যাংকিংকের কর্ণধার এবং ম্যানেজার স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তোড়জোড় শুরু করেন।
মেসার্স মালিহা এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার তরুণ ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,এক বার নয়! আমাদের সাথে কয়েকবার টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। ছোটখাট বিষয় মনে করেই তখন আমরা ঘটনা প্রকাশ করিনি। গত বৃহস্পতিবার (২৪জুন) বৃহস্পতিবার আমার শন্মদী হাফেজ মিজানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের টাইলসের জনৈক ব্যবসায়ী রাজু এন্ড কোম্পানির একাউন্টে পাঠানোর জন্য ৩৩হাজার টাকা হ্নীলা এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়। এসময় ক্যাশ কাউন্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত জনৈক ব্যক্তি টাকা গণনার সময় কৌশলে ১১হাজার টাকা মেশিনের পিছনে লুকিয়ে রাখেন। পরে সে (ব্যাংকের নিয়োজিত ব্যাক্তি) টাকা জমা করতে আসা মিজানকে বলেন যে,এখানে কত টাকা? মিজান মালিহা এন্টারপ্রাইজের মালিক মাইন উদ্দিনের কাছ জেনে ব্যাংকের কর্তব্যরত ওই ব্যাক্তিকে নিশ্চিত করেন যে,ওখানে ৩৩হাজার টাকা ছিল। খবর শুনে মালিহা এন্টারপ্রাইজের মালিক দ্রুত সময়ে ব্যাংকে চলে আসেন৷ তিনি (মাইন উদ্দিন) সিসি ক্যামরা দেখেও নিশ্চিত না হলে ম্যানেজারসহ উপস্থিত সকলের সামনে টাকা গণনার মেশিন সরিয়ে পেছনে লুকিয়ে রাখা ১১হাজার টাকা উদ্ধার করেন৷
পরবর্তীতে বিষয়টি যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত গ্রাহককে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন জানিয়ে তরুণ এই ব্যবসায়ী আরো বলেন,টাকা চুরির ঘটনা এখানে বহুবার ঘটেছে। তিনি ছাড়াও আরো অনেকে এই ধরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে উক্ত এজেন্ট ব্যাংক বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। আব্দুর রহমান নামের অপর এক ব্যবসায়ী জানান,এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং হ্নীলা শাখায় আমারও টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছিল। মোহাম্মদ আমির নামের এক উন্নয়নকর্মী এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কর্তৃক হয়রানির কথা জানান।
এদিকে টাকা চুরিতে জড়িত উক্ত এজেন্ট ব্যাংকের ম্যানেজার নুর আতিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি তিনি এঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে চাকুরীচ্যুত করার কথা জানিয়ে তিনি নিউজ না করতে অনুরোধ রাখেন।
অপরদিকে ব্যাবসায়ীসহ অনেকে এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের টাকা চুরির বিষয়টিতে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী নেতারা উক্ত এজেন্ট ব্যাংক বর্জনের ডাক দিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা হ্নীলা এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।#