নিজস্ব প্রতিবেদক : হ্নীলায় এক মেয়ে শিশু খেলতে গিয়েই কয়েকজন সংঘবদ্ধ কিশোরদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংঘবদ্ধ অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবী করেছে।
জানা যায়, ১৩ অক্টোবর বিকালে হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্র সমন্বয়ক উপদেষ্টা ও সমাজকর্মী সায়েম সিকদারের নেতৃত্বে একটি ছাত্র প্রতিনিধি দল হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ায় ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শুনেন এবং চিকিৎসাধীন শিশুর খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০অক্টোবর দুপুর ২টারদিকে উপজেলার হ্নীলা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সিকদার পাড়ার মোঃ হেঃ এবং উঃ হাঃ দম্পতির সাঃ আদ্যাক্ষরের এক শিশু বাড়িতে খেলা করছিল। এমতাবস্থায় স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ওরফে ধইল্যার পুত্র মোঃ ফারুক (১৬), রাজমিস্ত্রী মোঃ আব্দুল্লাহর পুত্র সিফাত (১৫) এবং হারুনের পুত্র রাকিব (১৩) মিলে ধরে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সন্ধ্যারদিকে শিশুকে অজ্ঞান অবস্থা হতে কোন প্রকারে বাড়িতে এলে মার মনে সন্দেহ জাগে। ভিকটিমের ভাই হতে বিস্তারিত জেনে অভিযুক্তদের সদস্য ফারুকের মাকে অবহিত করলে আরো উল্টা- গালমন্দ করে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে হুংকার দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর ভিকটিমের মা বিষয়টি স্থানীয় প্রতিবেশী মুরুব্বী নুর হোছনের নিকট জানিয়ে সালিশ দাবী করলে অভিযুক্তদের কয়েকটি বেত্রাঘাত করে ১হাজার টাকা চিকিৎসা খরচ নিয়ে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ হবেনা বলে ৩টি স্টাম্প নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুবিচার না পেয়ে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে নিয়ে হ্নীলা ষ্টেশনের স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখানো হয়। এরপর টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে সেখানে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। হয়তো ১৩অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার পর রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
ভিকটিমের মা জানান,আমার অবুঝ শিশু মেয়েকে ফারুক,সিফাত ও রাকিব মিলে ধর্ষণ করেছে। যা প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাতেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চিকিৎসকেরা এক কপি ভিকটিমের পরিবারকে দিয়ে থানায় মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন। আরেক কপি হাসপাতালে জমা রেখেছেন।
আমি এই ধরনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি। যাতে আগামীতে এই ধরনের কোন অপরাধী যেন অপরাধ করার সাহস না পায়।
হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্র জনতার সমন্বয়ক উপদেষ্টা ও সমাজকর্মী সায়েম সিকদার জানান,আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা ভিকটিমের পরিবারকে সর্বাত্নক সহায়তা করে এই অপরাধের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল করিম জানান,এই ধরনের ন্যাক্কারজনক বিষয়টি আমি অবগত নয় এবং কেউ আমাকে অবহিত করেনি।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান,এই বিষয়টি কেউ আমাদের জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে যথাযথ আইনী সহায়তা পেতে সর্বাত্নক সহায়তা করা হবে। ###