হোয়াইক্যং ধর্ষক পিতার প্রভাব আর প্রভাবশালীদের কারণে ৭ মাসের অন্ত:সত্তা যুবতির সামনে ঘোর অন্ধকার

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

বিশেষ প্রতিবেদক :: টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে এক অসহায়-কৃষক পরিবারের এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৭ মাসের অন্ত:সত্তা করে। এখন মেয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় টাকার বিনিময়ে স্থানীয়দের হাতে নিয়ে পক্ষপাত আচরণ শুরু করায় তার দুচোখে অন্ধকার নেমে এসেছে। এই ব্যাপারে ভূক্তভোগী মেয়ে ও পরিবার এই যুবতির অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের
আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াপাড়া বটতলীর পশ্চিমে পাহাড়ি গ্রামে হাসান আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ প্রকাশ সোনা মিয়া (২২) প্রতিবেশী এক কৃষক পরিবারের (স্ব) আদ্যাক্ষরের মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর তাকে বিয়ে করার জন্য ধর্মীয় কিতাব ছুঁয়ে শপথ দিয়ে শারীরিক মেলা মেশা শুরু করে। এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ঐ মেয়ে বিষয়টি ছেলেকে জানালে ভ্রুণ নষ্টের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এতেও কোন কাজ না হওয়ায় আস্তে আস্তে মেয়ে ৭ মাসের গর্ভবর্তী হয় এবং শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেওয়ায় বিয়ের জন্য ছেলেকে চাপ দেওয়া শুরু করে।
এতেই কলকাটি নাড়া শুরু করে টাকাওয়ালা বাপ। ছেলের এই অপকর্মের বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার জন্য এলাকার প্রভাবশালীদের নিয়ে লবিং শুরু করে। এখন দিনে এনে দিনে খাওয়া মেয়ের পরিবারকে কোণঠাসা করে এলাকার সমাজপতি, প্রভাবশালীরা গড়ে তোলে সিন্ডিকেট। এই কাজের জন্য মেয়েকে বিভিন্ন অপবাধে অভিযুক্ত করে এবং কিছু টাকা-পয়সার বিনিময়ে বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

স্থানীয় মানিক জানান, আব্দুল্লাহ একজন অপরাধী কালো টাকার মালিকের ছেলে। এলাকার কিছু সমাজপতি এবং গরম টাকার কাছে গর্ভবতী মেয়েটি এবং তার পরিবার একেবারে নিরুপায় এবং অসহায়। -দরিদ্র পরিবারের নেই।

মেয়ের পরিবার জানায়, স্থানীয় শালিসকারীরা বিচারের নামে আমাদের নিয়ে তামাশা করছে। যা মানব সমাজে অনাকাংখিত। আমরা এই ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করছি।