মিনাবাজারের শাকের ও কামাল বাহিনীর তান্ডব
জিয়াউল হক জিয়া, টেকনাফ :
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজারের পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার হতদরিদ্র আইয়ুব আলীর বাড়ী ভাংচুর ও তান্ডব চালিয়েছে মিনাবাজারের শাকের ও কামাল বাহিনী। এতে আইয়ুব আলীর বসত বাড়ীর আসবাব পত্র ভাংচুরের পাশাপাশি বাড়ির বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ আইয়ুব আলী। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টায় নয়াবাজারের পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার শেষের বাড়িতে।
ঘটনার বিবরণ জানিয়ে এলাকার প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শি মীর কাশেম, মোঃ ইউনুছ, মোহাম্মদ, আব্দুল মাবুদ, শাকেরা বেগম জানান, সম্প্রতি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তি এলাকায় সরকারের নানা জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেক রোহিঙ্গা মুসলমান গোপনে বিজিবির চোখে ফাঁকি দিয়ে নাফ নদী অতিক্রম করে।
এ সুযোগে মিনাবাজার, ঝিমংখালী,নয়াবাজারের কয়েকটি সিন্ডিকেট রোহিঙ্গা পারাপারের অঘোষিত ঘাট হিসেবে ব্যবহার করে জনপ্রতি ১২শ,দেড় হাজার টাকা নিয়ে নাফ নদী থেকে রাস্তায় এনে দেয়।
অভিযোগ রয়েছে উক্ত আদমের সিন্ডিকেট রোহিঙ্গা নারী পুরুষদের রক্ষিত নগদ টাকা,মহিলাদের স্বর্ন জোর করে ছিনিয়ে নিঃশ^ করে ছেড়ে দেয়। এমন কি ধর্ষন, বিবস্ত্র করার মত ঘটনা ও ঘটেছে ঝিমংখালী এলাকায়।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে লুটপাট ও ভাগ ভাটোয়ারা ঘটনার জের ধরে মিনাবাজারের শাকের ও কামাল বাহিনী কমান্ডো ষ্টাইলে নয়াবাজারের বেশ কয়েকটি বাড়ি নিশানা করে ডাকাতি ও লুটপাটের পরিকল্পনা করে।
এক পর্যায়ে কামাল বাহিনীর শ^সস্ত্র ক্যাডাররা পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার মৃত্যু ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আইয়ুব আলীর বাড়ি ঘেরাও করে দুটি দরজা ভেঙ্গে জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়ির চেয়ার, সৌর বিদ্যুতে চালিত ফ্যান সহ অনেক আসবাব পত্র ভেঙ্গে তান্ডব চালায় এবং আয়ুব আলীর স্ত্রীর স্বর্ণের কানের দুল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে আইয়ুব আলী নাফনদীতে মাছ শিকার করতে গেলে মিনাবাজারের শাকের ও কামাল বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের লুটপাটের ঘটনা তার চোখে পড়ে।
এলাকাবাসীর মতে আইয়ুব আলী কামাল বাহিনীর নানা কু-কর্ম দেখার কারণে তাদের রোষানলে পড়ে। এর কারণেই আইয়ুব আলীর বাড়ি আক্রান্ত হয়, দাবী এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ আইয়ুব আলী।